X
মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫
৩০ বৈশাখ ১৪৩২

সুন্দরবনে ১০ জেলেকে অপহরণ

খুলনা প্রতিনিধি
১৯ ডিসেম্বর ২০২২, ০৯:৩১আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২২, ০৯:৩১

সুন্দরবন থেকে ১০ জেলেকে অপহৃরণের পর মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছে। গত ১৫ ডিসেম্বর রাতে তাদের অপহরণ করা হয়। এ সময় জেলেদের কাছ থেকে প্রায় সাত মণ কাঁকড়া, প্রায় ২০টি মোবাইল ফোন ও দুটি নৌকা নিয়ে গেছে ডাকাতরা। ১৭ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে বন থেকে ফিরে আসা এক জেলে এই খবর জানিয়েছেন।

ডাকাতদের হামলার ভয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই জেলে জানান, পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই, জিউধারা ও ধানসাগর স্টেশন থেকে পারমিট নিয়ে বনের বেড়ীর খাল ও অরমাল খালে রাতে ৮-১০টি নৌকায় কাঁকড়া শিকার করছিলেন জেলেরা। এ সময় ৯ জনের একটি ডাকাত দল আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর চড়াও হয়। ডাকাত দল জেলেদের কাছে থাকা মোবাইল ফোন, নগদ টাকা ও তাদের শিকার করা কাঁকড়াসহ দুটি নৌকা নিয়ে নেয়। এরপর মাথাপিছু ১০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবিতে ১০ জেলেকে অপহরণ করে। এক সপ্তাহের মধ্যে টাকা নিয়ে যোগাযোগ না করলে অপহৃত জেলেদের হত্যা করা হবে বলে ডাকাতরা হুমকি দিয়েছে। 

অপহৃত জেলেদের মধ্যে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার জিউধরা গ্রামের আসাদুল হাওলাদার (৩৫), ডৌয়াতলা গ্রামের হানু (৪৫) ও বাগেরহাটের ডেমা এলাকার সোহেল (৩৫) রয়েছেন। অপহৃত জেলেদের পরিবারের মধ্যে চরম উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।

সুন্দরবন বিভাগের ধানসাগর স্টেশন কর্মকর্তা আব্দুস ছবুর জানান, জেলেদের মাধ্যমে তারা ডাকাতির খবর শুনেছেন।

চাঁদপাই রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, ডাকাতির বিষয়টি খোজ খবর নেয়া ও প্রয়োজনী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।

কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের গোয়েন্দা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডর মামুনুর রহমান জানান, জেলেদের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সুন্দরবনে ডাকাতদের তৎপরতা চালাতে দেবে না কোস্টগার্ড।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের আগে সুন্দরবনের জেলেদের কাছে বড় আতঙ্ক ছিল জল ও বন দস্যু। ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর সুন্দরবনকে ‘দস্যুমুক্ত সুন্দরবন’ ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই থেকে গত ১ নভেম্বর ‘দস্যুমুক্ত সুন্দরবন’র চতুর্থ বর্ষপূর্তি হয়। ২০১২ সালে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে র‌্যাব মহাপরিচালককে প্রধান সমন্বয়কারী করে সুন্দরবনে জলদস্যু দমনে টাস্কফোর্স গঠনের মাধ্যমে গোড়াপত্তন ঘটে জলদস্যু মুক্তকরণ প্রক্রিয়ার। ২০১২ সাল থেকে র‌্যাবের জোরালো অভিযানে কোণঠাসা হয়ে পড়ে জলদস্যুরা। 

উপর্যুপরি অভিযানে ফেরারি জীবনের অবসান ঘটিয়ে আত্মসমর্পণের পথ বেছে নেয় জলদস্যুরা। ২০১৬ সালের ৩১ মে থেকে ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর পর্যন্ত সুন্দরবনের ৩২টি দস্যু বাহিনীর ৩২৮ জন সদস্য, ৪৬২টি অস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদসহ আত্মসমর্পণ করে। ফলে সম্পূর্ণরূপে জলদস্যুমুক্ত হয় সুন্দরবন।

/এসএইচ/
সম্পর্কিত
জীববৈচিত্র্য বনাম জীবিকা: সেন্টমার্টিনে টানাপড়েন
নাফ নদে আরাকান আর্মির গুলিতে বাংলাদেশি দুই জেলে আহত
নাফ নদ থেকে বাংলাদেশি ৩ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি
সর্বশেষ খবর
জুনেই আইএমএফের ১.৩ বিলিয়ন ডলার ঋণ পাচ্ছে বাংলাদেশ
জুনেই আইএমএফের ১.৩ বিলিয়ন ডলার ঋণ পাচ্ছে বাংলাদেশ
সিলেটে ৪ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত
সিলেটে ৪ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত
রমনা বটমূলে বোমা হামলা: ২ জনের যাবজ্জীবন, ৯ জনের ১০ বছর সাজা
রমনা বটমূলে বোমা হামলা: ২ জনের যাবজ্জীবন, ৯ জনের ১০ বছর সাজা
আবেদআলী মামার সংসার
আবেদআলী মামার সংসার
সর্বাধিক পঠিত
পররাষ্ট্র সচিবের অফিসার্স ক্লাবের সদস্য পদ স্থগিত
পররাষ্ট্র সচিবের অফিসার্স ক্লাবের সদস্য পদ স্থগিত
আ.লীগ-ছাত্রলীগের ২৬ নেতার আত্মসমর্পণ
আ.লীগ-ছাত্রলীগের ২৬ নেতার আত্মসমর্পণ
স্বর্ণের দাম আবার কমলো
স্বর্ণের দাম আবার কমলো
সুস্থ তটিনী, তবে শুটিংয়ে ফেরার মতো নয়
সুস্থ তটিনী, তবে শুটিংয়ে ফেরার মতো নয়
পাকিস্তানে ভারত হামলা করলে সহায়তা করবে বালুচ লিবারেশন আর্মি
পাকিস্তানে ভারত হামলা করলে সহায়তা করবে বালুচ লিবারেশন আর্মি