মোংলা-খুলনা মহাসড়কে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ পালন করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। সোমবার (৬ নভেম্বর) ভোরে মহাসড়কের ভাগা ও রনসেন এলাকায় আগুন জ্বালিয়ে এ অবরোধ কর্মসূচি করেন তারা।
এদিকে, গত রাতে পুলিশ মোংলার কবরস্থান ও দিগরাজ এলাকা থেকে চার জনকে গ্রেফতার করেছেন। বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ তাদের আটক করেন। পুলিশের ধরপাকড়ের ভয়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা বাড়িঘর ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছেন। ফলে মূল দলের নেতাকর্মীদের না পেয়ে এখন নিরীহ মানুষকে বিএনপি নেতাকর্মী সাজিয়ে গ্রেফতারের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।
পুলিশের ধরপাকড়ে মোংলা-রামপালের সহস্রাধিক বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষকদল, তাঁতীদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা পরিবার ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। পুলিশের তল্লাশি, ভীতি ও আতঙ্কে এখন মোংলা-রামপালের নেতাকর্মীরা বাড়িঘর এবং নিজ নিজ এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। গত কয়েকদিনে মোংলা-রামপালের প্রায় অর্ধশত নেতাকর্মী গ্রেফতার হয়েছেন।
অভিযোগ উঠেছে, পুলিশের গ্রেফতার, অন্যদিকে তল্লাশির নামে ভীতি ও আতঙ্ক সৃষ্টিতে পরিবার থেকে নেতাকর্মীরা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় তাদের পরিবারগুলো চরম মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
বাগেরহাট জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম দাবি করেন, নাশকতার কাল্পনিক মামলায় পুলিশ প্রতিনিয়ত নেতাকর্মীদের গ্রেফতার, বাড়ি বাড়ি তল্লাশি, ভীতি ও আতঙ্ক সৃষ্টি করে চলেছেন। পুলিশ এটি চরম অমানবিক কাজ করছেন। পুলিশের ধরপাকড়ের ফলে নেতাকর্মীরা পালিয়ে থাকায় তাদের পরিবারপরিজন খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছে, যেটি চরম অমানবিক হয়ে পড়েছে। অহেতুক গ্রেফতার, তল্লাশি ও আতঙ্ক সৃষ্টি করে পুলিশ সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নে নির্লজ্জ কাজ করে যাচ্ছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে পুলিশের চলমান আগ্রাসী ভূমিকা পালন থেকে সরে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।
গ্রেফতারের বিষয়ে মোংলা থানার ওসি মোহাম্মদ সামসুদ্দীন বলেন, যাদেরকে আটক করা হচ্ছে তারা সবাই তালিকাভুক্ত।