দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে যশোরের ছয়টি সংসদীয় আসনে এবার মনোনয়নপত্র নিয়ে লড়াই শুরু হয়েছে। সোমবার (২০ নভেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত ছয়টি আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র নিয়েছেন ৫০ জন। ইতোমধ্যে অধিকাংশ মনোনয়নপ্রত্যাশী তাদের মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন।
জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা জানিয়েছেন, এবার যশোর-২ (ঝিকরগাছা-চৌগাছা) আসন থেকে সর্বোচ্চ ১৬ জন মনোনয়নপত্র নিয়েছেন। এছাড়া যশোর-৫ (মণিরামপুর) আসন থেকে ১২ জন মনোনয়ন ফরম তুলেছেন। ইতোমধ্যে তাদের অনেকে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, যশোর-১ (শার্শা) আসন থেকে মনোনয়ন লড়াইয়ে অংশ নিয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন এবং সাবেক মেয়র আশরাফুল আলম লিটনসহ চার জন।
যশোর-২ (ঝিকরগাছা-চৌগাছা) আসন থেকে মনোনয়নপত্র তুলেছেন বর্তমান সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দিন, সাবেক বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, তার ছেলে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোস্তফা আশীষ ইসলাম, সাবেক সংসদ সদস্য মনিরুল ইসলাম, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম, চৌগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এসএম হাবিব, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আনোয়ার হোসেন, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের নেতা গিলবার্ট নির্মল বিশ্বাসসহ ১৬ জন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাবেক সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম।
যশোর-৩ (সদর) আসন থেকে দলের মনোনয়নপত্র নিয়েছেন পরপর দুবারের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ। একই আসনে মনোনয়নপত্র তুলেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন, পৌরসভার সাবেক মেয়র জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মোবাশ্বের হোসেন বাবু।
যশোর-৪ (বাঘারপাড়া-অভয়নগর) আসন থেকে মনোনয়ন লড়াইয়ে অংশ নিয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য রণজিত কুমার রায়, সাবেক হুইপ শেখ আবদুল ওহাবসহ সাত জন।
যশোর-৫ (মনিরামপুর) আসন থেকে মনোনয়ন যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্যসহ ১২ জন। তারা হলেন বর্তমান সংসদ সদস্য প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জেলা যুবলীগের সভাপতি মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী, জেলা কৃষক লীগের সহসভাপতি ইয়াকুব আলী, মণিরামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমা খানম, সাবেক চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন লাভলু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক ফারুক হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হুমায়ুন সাদাব সুলতান, যুবলীগের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক জয়দেব কুমার নন্দী, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা কামরুল হাসান বারী এবং মতুয়া সম্প্রদায়ের স্থানীয় নেতা নিতাই বৈরাগী।
যশোর-৬ (কেশবপুর) আসন থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং ওই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদার। এছাড়া মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী রফিকুল ইসলাম, সাবেক চেয়ারম্যান এইচএম আমির হোসেন, জেলা পরিষদ সদস্য খন্দকার আব্দুল আজিজ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিপুল সিদ্দিকী এবং আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার হোসাইন মোহাম্মদ ইসলাম।
কেশবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাস্টার রুহুল আমিন বলেন, ‘শুনেছি ছয়টি আসনে অনেকে দলীয় মনোনয়ন ফরম তুলেছেন। অনেকে জমা দিয়েছেন। মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে দলীয় প্রধান চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন। শেখ হাসিনা যার হাতে নৌকা প্রতীক তুলে দেবেন, তার জন্যই আমরা কাজ করবো।’