বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি বাগেরহাটের মোংলা বন্দর থেকে ৪৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে। এটি শনিবার (২৫ মে) সন্ধ্যা নাগাদ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে এর নাম হবে ‘রিমাল’। রবিবার এটি উপকূলে আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
মোংলা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ হারুন অর রশিদ জানান, এটি বর্তমান যেই অবস্থান দেখাচ্ছে তাতে কেন্দ্রটি বাংলাদেশের ওপর দিয়েই অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সুন্দরবন এলাকা এবং বরিশালের পটুয়াখালী, বরগুনা ও ভোলায় আঘাত হানার সম্ভবনা বেশি।
এর প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় এরই মধ্যে মোংলা সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অধিদফতর। এর জন্য সব ধরনের সতর্কতামূলক প্রস্ততি নিয়েছে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ। কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী ও উপজেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে শনিবার দুপুরে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সভাকক্ষে জরুরি বৈঠক করা হয়েছে।
বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার সাইফুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, মোংলা বন্দরে এই মুহূর্তে সিমেন্টের কাঁচামাল ক্লিংকার, সার, পাথর ও গ্যাসবাহী ছয়টি জাহাজ অবস্থান করছে। সেগুলোকে নিরাপদে নোঙর করতে বলা হয়েছে। তবে এখনও জাহাজের পণ্য ওঠানামার কাজ বন্ধ করার মতো পরিস্থিতি হয়নি। সংকেত বাড়লে পরিস্থিতি বুঝে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া বন্দরে একটি কন্ট্রোল রুমও খোলা হয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে এটি আঘাত হানলে মোকাবিলায় সবরকম প্রস্ততি নিয়েছে উপজেলা প্রশাসনও। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিশাত তামান্না বলেন, ‘১০৩টি আশ্রয়কেন্দ্রসহ ১৬০০ স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আবহাওয়া অফিস থেকে সংকেত বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই আমাদের কার্যক্রমের গতি বাড়ানো হবে। তবে এখনও কোনও কন্ট্রোলরুম খোলা হয়নি।’