চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা বদনপুর গ্রামের মাসুদ হাসান রঞ্জু (২৬) হত্যার মূল রহস্য উন্মোচন ও হত্যার ঘটনায় জড়িত দুই জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রেমের সম্পর্ক জেনে যাওয়ায় ও বাধা দেওয়ায় কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে আদালতে স্বীকার করেছে আসামিরা।
মঙ্গলবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকালে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান।
গ্রেফতাররা হলেন- দামুড়হুদা বদনপুর গ্রামের মৃত নুর ইসলামের ছেলে হুমায়ুন কবির (৪১) ও একই গ্রামের মিজানুর রহমানের স্ত্রী শাহানাজ সুলতানা (২৭)।
চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা জানান, রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে সেচ দেওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন রঞ্জু। দুপুর গড়িয়ে গেলেও বাড়ি না ফেরায় তার বাবা বিকালে খাবার নিয়ে ভুট্টা ক্ষেতে যান। ছেলেকে না পেয়ে বাড়ি ফিরে আসেন তিনি। সন্ধ্যা নামার পরও রঞ্জুর খোঁজ না মেলায় পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা তল্লাশি শুরু করেন এবং একপর্যায়ে ভুট্টা ক্ষেতে রক্তাক্ত অবস্থায় রঞ্জুর লাশ খুঁজে পান।
তিনি জানান, পরদিন নিহতের বাবা অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পুলিশের একাধিক টিম হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটনে মাঠে নামে এবং রাত সাড়ে ১২টার দিকে সন্দেহভাজন হুমায়ুন কবিরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। জিজ্ঞাসাবাদে হুমায়ুন কবির হত্যার দায় স্বীকার করেন।
পুলিশ সুপার জানান, আসামি স্বীকারোক্তিতে জানিয়েছে, একই গ্রামের মিজানুর রহমানের স্ত্রী শাহানাজ সুলতানার সঙ্গে হুমায়ুন কবিরের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। রঞ্জু শাহানাজের মেয়েকে প্রাইভেট পড়াতে যেতেন এবং তাদের সম্পর্কের কথা জেনে স্থানীয়দের জানান। বিষয়টি জানার পর শাহানাজ, হুমায়ুনকে রঞ্জুকে হত্যার প্রস্তাব দেন এবং হুমায়ুন তা মেনে নেন। গত রবিবার সকালে ভুট্টা ক্ষেতে সেচ দেওয়ার সময় পরিকল্পনামাফিক মাথায় কোদাল দিয়ে আঘাত করেন এবং মৃত্যুর নিশ্চিতের জন্য আরও দুটি কোপ দেন। হত্যার পর কোদাল ক্যানেলে ফেলে বাড়ি ফিরে যান। আদালতেও দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন হুমায়ুন কবির।