মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার গাঁড়াবাড়িয়া গ্রামে মাদকাসক্ত জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে ইলিয়াছ হোসেন (৪৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। নিহত ইলিয়াছ হোসেন ওই গ্রামের নেক্কার আলীর ছেলে। এ সময় পরিবারের লোকজন ঘাতক জামাইকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
আজ বৃহস্পতিবার (৮ মে) ভোররাতের দিকে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহতের লাশ মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
ঘাতক সবুজ একই উপজেলার ষোলটাকা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য ময়নাল মেম্বারের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, ইলিয়াছ হোসেন ভোরের দিকে তার শ্বশুর বাশারের বাড়িতে গিয়ে স্ত্রীকে মারধর করছিলেন। এ সময় চাচাশ্বশুর ইলিয়াছ হোসেন তাকে বাধা প্রদান করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ঘাতক সবুজ চাচাশ্বশুর ইলিয়াছ হোসেনের পেটে ছুরিকাঘাত করে। গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে মেহেরপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান তিনি। এদিকে ঘাতককে আটক করে স্থানীয় লোকজন গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
নিহতের ভাতিজা আব্দুল্লাহ বলেন, ‘সবুজ দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত। সে টাকা চেয়ে আমার বোনকে নির্যাতন করতো। তিন দিন আগে আমার বোনকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। পরে গতকাল রাতে আমাদের বাড়িতে আসে। আজ সকালে কথা-কাটাকাটির সময় হঠাৎ চাচাকে ছুরিকাঘাত করে। আমি ঠেকাতে গেলে আমাকেও আঘাত করে। আমি এই খুনির ফাঁসি চাই।’
খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর একটি টিম, গাংনী থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং ঘাতক সবুজকে আটক করে থানায় নেন।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার এবং ঘাতককে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।