ময়মনসিংহ নগরীতে বেলুন ফোলানোর গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ১১ জন দগ্ধ হয়েছেন। এর মধ্যে ছয় শিশু, দুই নারী ও তিন জন পুরুষ রয়েছেন। তাদের ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে নগরীর ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কালিবাড়ী দক্ষিণপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ শাহ কামাল আকন্দ এক শিশুর মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করলেও পরে জানিয়েছেন, কারও মৃত্যু হয়নি। তবে ১১ জন দগ্ধ হয়েছেন।
দগ্ধরা হলেন চর কালিবাড়ী এলাকার সোহেল রানা (৫০), ইসমাইল হোসেন (২৫), তারিকুল ইসলাম (৩৫), সালমা বেগম (২৫), কোহিনুর আক্তার (৪০), ইয়াসিন হোসেন (৫), সুলেমান মিয়া (৫), তানজিনা আক্তার (৪), মীম আক্তার (৫), মানিক মিয়া (৯) ও রহিম মিয়া (৪)।
ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক রাকিবুল হাসান বলেন, ‘কোহিনুর আক্তারের শরীরের ৩৫ শতাংশ পুড়ে যাওয়ায় ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে। দগ্ধ বাকিদের চিকিৎসা চলছে।’
ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত উপপরিদর্শক (এসআই) মো. জাহাঙ্গীর আলম এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত হাসপাতালে ১১ জন ভর্তি হয়েছেন।’
ময়মনসিংহ ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার জুলহাস উদ্দিন বলেন, ‘কালিবাড়ী এলাকার দক্ষিণপাড়া এলাকার ইদ্রিস আলীর ভাড়া বাসায় এক বেলুন বিক্রেতা বসবাস করতেন। প্রতিদিনের মতো আজও সেখানে বেলুন ফোলানোর সময় বিকট শব্দে সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ সময় নারী-শিশুসহ ১১ জন দগ্ধ হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। বিস্ফোরণের ঘটনায় দুটি টিনের ঘরের চাল উড়ে গেছে।’
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি শাহ কামাল আকন্দ বলেন, ‘ঘটনার পর স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি, এক শিশু মারা গেছে। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ লাশের সন্ধান পায়নি। ফলে কারও মৃত্যু হয়নি। যারা মৃত্যুর তথ্য আমাদের দিয়েছিল, তা সঠিক ছিল না। এ নিয়ে ভুল-বোঝাবুঝি তৈরি হয়েছে। দগ্ধ ১১ জন ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।’