নরসিংদীতে ছোট তিন ভাইবোনকে হত্যা করেছে মেঝ ভাই। এ সময় বড় ভাই আতিকুর রহমানকেও (২৭) কুপিয়ে আহত করা হয়। তাকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে নরসিংদী সদর উপজেলার চরাঞ্চলের আলোকবালী পূর্বপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। আজ বুধবার সকালে এ ঘটনায় অভিযুক্ত ভাই রুবেল মিয়াকে (২৩) আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী।
নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহরিয়ার আলম বাংলা ট্রিবিউনকে এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘খবর পেয়ে ময়নাতদন্তের জন্য আমরা তিনজনের লাশ উদ্ধার করেছি।’
নিহতরা হলেন, আলোকবালী পূর্বপাড়া গ্রামের আবুল কালাম মিয়ার মেয়ে মার্জিয়া বেগম (৬), মরিয়ম বেগম (৮) ও ছেলে ইয়াছিন (১০)।
পুলিশ ও পরিবারের লোকজন জানায়, রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাড়ির পাশ্ববর্তী মাদ্র্রাসা থেকে মাদ্রাসার আবাসিক শিক্ষক ও বড় ভাই আতিকুর রহমানকে মায়ের অসুস্থতার কথা বলে ডাকে ছোট ভাই রুবেল মিয়া। বাড়ি আসার সময় হঠাৎ করে পেছন থেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আতিকুর রহমানকে কোপাতে থাকে রুবেল। এ সময় তার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে গেলে রুবেল পালিয়ে যায়। এলাকাবাসী আহত আতিককে উদ্ধার করে প্রথমে বাড়িতে নিয়ে যায়। এরপর বাড়ি থেকে দুই বোন ও এক ভাইয়ের মরদেহ দেখতে পায় এলাকাবাসী। ওই সময় আতিকুরের মা বাড়িতে ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন। বাবা আবুল কালাম ব্যবসায়িক কাজে বাড়ির বাইরে ছিলেন। এরপর রাতেই স্থানীয়রা আহত বড় ভাই আতিককে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। নিহতদের প্রতিবেশী নাজমুল হাসান বলেন, ‘অভিযুক্ত রুবেল মানসিকভাবেও সুস্থ, তাদের মধ্যে পারিবারিক কোনও বিরোধ ছিল না। তবে ঠিক কি কারণে এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে তা বুঝতে পারছি না।’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তিনজনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। তবে ঠিক কি কারণে এ হত্যার ঘটনা ঘটেছে তা এখনও জানা যায়নি।’
আটক রুবেলকে জিজ্ঞাসাবাদ এবং তদন্তের পর হত্যার রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে বলেও জানিয়েছেন পুলিশ সুপার শাহরিয়ারর্ আলম।
/এমএনএইচ/এমডিপি/