দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানম ও তার বাবার ওপর হামলার ঘটনায় আটককৃত প্রধান আসামি আসাদুল হককে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে র্যাব।
আজ শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় রংপুর র্যাব-১৩ এর একটি টিম রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা আসাদুলকে নিয়ে এসে ঘোড়াঘাট থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। এরপর আসাদুলসহ বিকেলে আটককৃত আরও ৩জনকে দিনাজপুর ডিবি কার্যালয় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।
তবে এ ব্যাপারে বারবার থানার ওসি আমিরুল ইসলামের মোবাইলে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
গত বুধবার রাতে ইউএনও ওয়াহিদা খানমের সরকারি বাসভবনের ভেন্টিলেটর দিয়ে বাসার ভেতরে ঢুকে তাকেসহ তার বাবাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আসামি শনাক্ত করে র্যাব। বুধবার রাতেই এ ঘটনায় ওয়াহিদা খানমের ভাই বাদী হয়ে ঘোড়াঘাট থানায় মামলা করেন। বৃহস্পতিবার ভোরে এ ঘটনায় প্রথমের আসাদুল ও পরে নবিরুল ও সান্টু নামে মোট তিন জনকে গ্রেফতার করে র্যাব। দিনভর জিজ্ঞাসাবাদে আসাদুল অসুস্থবোধ করলে তাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকেই আজ তাকে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করলো র্যাব। অপর দুই আসামি নাবিরুল ও সান্টুকে শনিবার ভোররাতেই ঘোড়াঘাট থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত ইউএনও ওয়াহিদা খানমের সফল অস্ত্রোপচার হলেও তিনি এখনও ঝুঁকিমুক্ত নন। তার বাবারও শরীরের নিচের অংশ এখন অসাড় হয়ে আছে। এদিকে এ ঘটনায় হামলাকারীদের সহযোগী সন্দেহে আরও তিনজনকে আটক করেছে ঘোড়াঘাট থানা পুলিশ। এরা হচ্ছে ইউএনওর ওপর হামলার মামলার প্রধান আসামি আসাদুল ইসলামের ভাই আশরাফুল ইসলাম শাওন (৪০), ইউএনওর বাসভবনের মালি সুলতান কবির (৩৭) ও মামলার অন্যতম আসামি সান্টু কুমারের আত্মীয় শ্যামল কুমার (৩৩)।