কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ ছাত্রী সোহাগী জাহান তনুর ভাই আনোয়ার হোসেনের বন্ধু মিজানুর রহমান সোহাগ (২১) ১৬ দিন পর বাড়িতে ফিরে এসেছেন। মঙ্গলবার ভোর ৬টায় তাকে তার বাড়ির পাশের নাজিরা বাজারস্থ সাকুরা সিএনজি ফিলিং স্টেশনের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়।
সোহাগের বড় বোন খালেদা আক্তার জানান, ‘তার চাচা রাস্তায় হাঁটতে গিয়ে দেখেন সোহাগ রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে। তারপর তাকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। তবে সোহাগ কোথায় ছিল সে বিষয়ে কিছু বলেনি। সে শুধু বলেছে আমি ভালো আছি, ঠিকমত খাবার খেতে পেরেছি। তার ফিরে আসায় পরিবারে খুশির জোয়ার বয়ে যাচ্ছে।’
সেনানিবাস সংলগ্ন কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার নারায়ণসার গ্রামের নুরুল ইসলামের ২ ছেলে ২ মেয়ের মধ্যে সোহাগ তৃতীয়। তিনি ২০১৫ সালে কুমিল্লা সদর উপজেলার আলেকজান মেমোরিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। তিনি বিদেশ যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
আরও পড়তে পারেন: তনুর ভাইয়ের বন্ধুসহ নিখোঁজ চারজনের সন্ধান চায় পরিবার
সোহাগের বাবা নুরুল ইসলাম জানান, ২৭ মার্চ রাত দেড়টায় সাদা পোশাকে প্রশাসনের লোক পরিচয়ে সোহাগকে তুলে নিয়ে যায়। তিনি ৩০ মার্চ বুড়িচং থানায় এ বিষয়ে সাধারণ ডায়েরি করেছেন। তনু হত্যার খবর টিভিতে দেখে তনুর ভাই রুবেল তার বন্ধু বলে দাবি করেন সোহাগ। এরপর সোহাগ এলাকায় তনু হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে বিক্ষোভে অংশ নেন। এসব অভিযোগে তার ছেলেকে র্যাব তুলে নিয়ে গেছে বলে মনে করেন নুরুল ইসলাম।
আরও পড়তে পারেন: তনু হত্যা: রাজধানীতে প্রতিবাদ বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা
তনুর ভাই আনোয়ার হোসেন জানান, বুড়িচং উপজেলার কালাকচুয়া কাজীম উদ্দিন খন্দকার উচ্চ বিদ্যালয়ে সোহাগের সঙ্গে এক সঙ্গে পড়েছি। এছাড়া তার বাড়ির নিকটে কালাকচুয়া এলাকায় আমি ড্রাইভিং শিখতে যেতাম, সেখানে তার সঙ্গে কথা হতো। মাঝে মাঝে বিকালে ওই এলাকায় গিয়ে তার সঙ্গে আড্ডা দিতাম।
আরও পড়তে পারেন:
‘তনুকে ধর্ষণের আলামত মেলেনি, হত্যার ধরণও জানা যায়নি’
উল্লেখ্য, গত ২০ মার্চ রাতে কুমিল্লা সেনানিবাসের বাসার অদূরে জঙ্গলে তনুর লাশ পাওয়া যায়। ২১ মার্চ তার বাবা ইয়ার হোসেন অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। হত্যার ২২দিনেও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী মৃত্যুর কারণ নির্ণয় ও অপরাধীদের শনাক্ত করতে পারেনি।
/জেবি/ এপিএইচ/