এক মেডিক্যাল কলেজ শিক্ষার্থীর শরীরে করোনাভাইরাসের টিকা ছাড়া খালি সিরিঞ্জ পুশের অভিযোগে পাবনা জেনারেল হাসপাতালের টিকাকেন্দ্রের দুই স্টাফ নার্সকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বুধবার (৪ আগস্ট) দুপুরের এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) বেলা ১২টায় তাদের প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. কে এম আবু জাফর। তিনি জানান, প্রত্যাহার হওয়া ওই দুই নার্স হলেন- মেরিনা এবং মিতা। তবে তারা খালি সিরিঞ্জ শরীরে পুশের কোনও ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেছেন বলে জানিয়েছেন।
ভুক্তভোগীর পিতা অ্যাডভোকেট আব্দুল হান্নান বলেন, ‘আমার মেয়ে ঢাকার একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের পঞ্চম বর্ষের ছাত্রী। বুধবার হাসপাতালে কোভিড-১৯ টিকা নিতে যায়। এ সময় কর্তব্যরত নার্সরা তার বাহুতে একটি খালি সিরিঞ্জ পুশ করে। বিষয়টি লক্ষ্য করে প্রতিবাদ জানালে তাড়াহুড়ো করে সিরিঞ্জ বের করায় রক্তপাত হয়। পরে ভ্যাকসিনসহ আরেকটি সিরিঞ্জ অন্য হাতে পুশ করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘আমার মেয়ে একজন মেডিক্যাল শিক্ষার্থী বলেই বিষয়টি তাৎক্ষণিক বুঝতে পেরেছে। এটি একটি গুরুতর অপরাধ ও কর্তব্যে অবহেলা। টিকা প্রদান ও গ্রহণে প্রত্যেকেরই আরও সচেতন হওয়া উচিত। দায়িত্বরত নার্সরা কেন এমন করলেন, তা আমি বুঝতেই পারছি না।’
এদিকে, টিকা প্রদানে কর্তব্যরত নার্সদের কোনও অবহেলা ছিল কি না- তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. কে এম আবু জাফর। এ ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটিও করা হয়েছে।
পরিচালক বলেন, ‘যদিও আমরা এ বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক অভিযোগ পাইনি। এরপরেও পাবনা সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোস্তাফিজুর রহমানকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটিকে তদন্ত করতে বলা হয়েছে। তারা প্রতিবেদন দিলে এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি টিকাকেন্দ্রে সার্বিক নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে।’
এ বিষয়ে পাবনা জেলা সিভিল সার্জন ডা. মনিসর চৌধুরী বলেন, ‘জেলায় টিকাদানে যারা কাজ করছেন, তারা সবাই স্টাফ নার্স ও অভিজ্ঞ। পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর্মীরাও প্রশিক্ষিত। এ ধরনের ভুল হওয়ার কথা নয়। এরপরও, আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।’ টিকাদান কার্যক্রম নিয়ে বিভ্রান্ত না হয়ে সহযোগিতার অনুরোধও করেন তিনি।