আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) তিনি বগুড়ার আদালতে মামলা করবেন। দুটি জাতীয় নির্বাচন ও উপ-নির্বাচনে তার ওপর হামলা ও ভোট কারচুপির অভিযোগে মামলাটি করবেন। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকালে তিনি জানান, বৃহস্পতিবার মামলা করতে গিয়েছিলেন। নির্ধারিত সময়ে কাগজপত্র জমা দিতে না পারায় মামলা হয়নি।
মামলার সম্ভাব্য আসামিরা হলেন- সাবেক সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে জাসদের সাবেক এমপি রেজাউল করিম তানসেন, নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন রানা, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান যুবলীগ নেতা রেজাউল আশরাফ জিন্নাহ প্রমুখ। অন্যরা নির্বাচনি এলাকার আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী।
হিরো আলম জানান, তিনি ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন। একটি কেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশে তার ওপর হামলা হয়েছিল। সেদিন তারা তাকে হত্যার চেষ্টা করেছিল। ওই নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে তিনি নির্বাচন বর্জন করেন। ফলাফলে পরাজিত হয়েছিলেন।
তিনি জানান, ২০২৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে একতারা প্রতীকে অংশ নেন। বগুড়া-৪ আসনে মাত্র ৮৩৪ ভোট এবং বগুড়া-৬ আসনে পাঁচ হাজার ২৭৪ ভোট পেয়ে জামানত হারান।
হিরো আলম দাবি করেন, তিনি নির্বাচনে বিজয়ী হলেও সাবেক জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিফা নুসরাত ও অন্যরা যোগসাজশে তাকে হারিয়ে দেন। ভোটে জিতলে তাকে স্যার ডাকতে হবে। আর তারা বার বার মনোনয়ন বাতিল করেও আর্থিকভাবে ক্ষতি করেছে। সবমিলিয়ে তার অন্তত দুই কোটি টাকার ক্ষতি করা হয়েছে।
এতদিন পর মামলা করছেন কেন? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, দেশ এখন স্বাধীন হয়েছে। আমরা মুক্তভাবে কথা বলতে পারছি। এখনও যদি মামলা করে সুষ্ঠু বিচার না পাই তাহলে স্বাধীন হয়ে কী লাভ হলো। তাই আমি আশা করি, দেশ যেহেতু স্বাধীন হয়েছে; আমি সুবিচার পাবো। আর আমি যদি সুবিচার পাই, তাহলে এর আগে যারা বিচার পায়নি তারাও মামলা করতে সাহস পাবে।
হিরো আলম ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনেও অংশ নিয়েছিলেন। সেটিতে পরাজিত হন, জামানতও হারান। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ আলী আরাফাত নির্বাচিত হয়েছিলেন।