বগুড়ায় শনিবার (৭ ডিসেম্বর) রাতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুই চালকসহ তিন জন নিহত ও চার জন আহত হয়েছেন। নন্দীগ্রামের কুচাইকুঁড়ি এলাকায় বগুড়া-নাটোর মহাসড়কে বাসের ধাক্কায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকসহ দুই জন এবং আদমদীঘি উপজেলার আশা ফিলিং স্টেশনের পাশে বগুড়া-নওগাঁ সড়কে ট্রলি ও ভটভটির সংঘর্ষে একজন নিহত হন।
নিহতরা হলেন- নাটোরের সিংড়া উপজেলার হাঁটুয়া আলাইপুর গ্রামের হরে রাম সাহার ছেলে সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক জীতেন্দ্র নাথ সাহা (৪৫) ও যাত্রী একই এলাকার শফিউল সরদারের ছেলে উজ্জ্বল হোসেন (৩০) এবং আদমদীঘি উপজেলার কুন্দগ্রাম ইউনিয়নের শিববাটি কান্ডারপাড়া গ্রামের মজিবর রহমানের
ছেলে ট্রলি চালক আবদুল মতিন (৫৫)।
হাইওয়ে পুলিশ নন্দীগ্রামের কুন্দারহাট থানার ওসি মোনোয়ারুজ্জামান রবিবার সকালে জানান, শনিবার রাতে অটোরিকশা চালক জীতেন্দ্র নাথ সাহা চার যাত্রী নিয়ে নন্দীগ্রাম থেকে রণবাঘার দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে কুচাইকুঁড়ি এলাকায় বগুড়া-নাটোর মহাসড়কে পৌঁছলে রাজশাহী ছেড়ে আসা বগুড়াগামী অজ্ঞাত বাসের চালক অটোরিকশায় ধাক্কা দেয়। এতে অটো রিকশা দুমড়েমুচড়ে ঘটনাস্থলেই চালক জীতেন্দ্র নাথ সাহা ও যাত্রী উজ্জ্বল হোসেন মারা যান। অটোরিকশায় থাকা শিশুসহ তিন যাত্রী গুরুতর আহত হন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাদের উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করেন।
ওসি আরও জানান, লাশগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
আদমদীঘি থানার ওসি এস এম মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এক নারী আদমদীঘি সদর হাট থেকে দুটি ছাগল কেনেন। তিনি ব্যাটারিচালিত ট্রলিতে ছাগলগুলো নিয়ে সান্তাহারের দিকে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে উপজেলার আশা ফিলিং স্টেশনের পাশে বগুড়া-নওগাঁ সড়কে পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ভটভটির চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা দেয়। এতে ট্রলির বডি খুলে দুমড়েমুচড়ে গিয়ে উল্টে যায়। ট্রলিচালক আবদুল মতিন ও অজ্ঞাত নারী যাত্রী গুরুতর আহত হন। তার দুটি ছাগলও জখম হয়। মতিনকে প্রথমে আদমদীঘি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে বগুড়ার শজিমেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার রাতে তার মৃত্যু হয়। আহত নারীর পরিচয় মেলেনি। তাকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয়রা আহত ছাগল দুটিকে জবাই করেছে। পুলিশ ভটভটি ও ট্রলি জব্দ করেছে। এ বিষয়ে আদমদীঘি থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।