জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলায় এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলার তিন আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার ভোরে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এর আগে ওই গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে তিন জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন।
এর আগে গত ৫ ফেব্রুয়ারি প্রশিক্ষণ শেষে ওই গৃহবধূকে নিজ বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো- রুবেল হোসেন (৩৩), ফারুক হোসেন (৪০) ও একরামুল হক (৪২)। তাদের বাড়ি আক্কেলপুর উপজেলায়। ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূর বাড়িও আক্কেলপুরের একটি গ্রামে।
বাদী মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছেন, ওই গৃহবধূ বিদেশ গমনের লক্ষ্যে জয়পুরহাট কারিগরি প্রশিক্ষণকেন্দ্রে (টিটিসি) তিন দিনের প্রশিক্ষণে ভর্তি হন। এ সময় অন্য প্রশিক্ষণার্থীদের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। ৫ ফেব্রুয়ারি প্রশিক্ষণ শেষে তাকে নিজ বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে রুবেল নিজের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে মারধর করে। মারধরের পর ওই দিন রাত ৯টার দিকে গৃহবধূকে রুবেল তার বন্ধু ফারুকের গভীর নলকূপের ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে রুবেল, ফারুক ও একরামুল ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে গৃহবধূ জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে ওই নারীকে নলকূপের ঘরে ফেলে রেখে চলে যায় তারা।
ধর্ষণের শিকার হওয়ার পরদিন সকালে ওই গৃহবধূ জ্ঞান ফিরে পেলে সড়কে এসে একটি ভ্যানযোগে জয়পুরহাট টিটিসিতে পৌঁছান। সেখান থেকে নিয়ে যাওয়ার জন্য স্বামীকে ফোন করেন। বাসায় যাওয়ার পথে গৃহবধূ স্বামীকে ঘটনাটি খুলে বলেন। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় গৃহবধূকে তার স্বামী বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। শুক্রবার গৃহবধূর স্বামী মামলা করেন।
আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিছুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে থানায় তিন জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন গৃহবধূর স্বামী। ওই মামলার তিন আসামিকে গ্রেফতার করে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’