বগুড়ার শিবগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধে দুই পক্ষের সংঘর্ষে মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত মাসুদ (৩৫) মারা গেছেন। রবিবার (১১ মে) দুপুরে উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামে এ সংঘর্ষে উভয়পক্ষের আটজন আহত হন।
এর মধ্যে মাসুদ গভীর রাতে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে মারা যান। এ ঘটনায় তার ভাগ্নি ইসমত আরা শিবগঞ্জ থানায় ১৮ জনের নাম উল্লেখসহ মোট ২৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করছেন। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিন জনসহ সাত জনকে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতার আসামিরা হলেন- বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের আবদুল মতিনের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৫৫), তার দুই ছেলে সিহাবুল ইসলাম (৩০) ও লুৎফর রহমান (৪০), মেয়ে তাপসী বেগম (২৮), লুৎফরের স্ত্রী পারভিন বেগম (৩৫) ও ইয়াকুব আলীর দুই ছেলে সিরাজুল ইসলাম (৪২) ও আলতাফ হোসেন (৫৫)। এর মধ্যে সিহাবুল ইসলাম, মনোয়ারা বেগম ও পারভিন বেগম পুলিশ প্রহরায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর সারোয়ার পারভেজ জানান, শিবগঞ্জ উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের হাসেম আলীর ছেলে মাসুদের সঙ্গে জমি নিয়ে একই গ্রামের সিরাজুল ও তার স্বজনদের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। রবিবার দুপুরে জমি মাপ করা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা ও সংঘর্ষ হয়। মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মাসুদ ও তার পক্ষের পাঁচ জন আহত হন। প্রতিপক্ষের তিন জন আহত হয়েছেন।
তিনি জানান, তাদের উদ্ধার করে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত আড়াইটার দিকে মাসুদ মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের ভাগ্নি ইসমত আরা সোমবার সকালে শিবগঞ্জ থানায় ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে ২৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।
ইন্সপেক্টর সারোয়ার পারভেজ আরও জানান, তাৎক্ষণিকভাবে অভিযান চালিয়ে এজাহারনামীয় সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে তিন জন পুলিশ পাহারায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। চার জনকে আদালতের মাধ্যমে বগুড়া কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।