দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি আগের তুলনায় বাড়লেও চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ কমের অজুহাতে নিত্য এ পণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। শনিবার (৯ অক্টোবর) বন্দর দিয়ে ৩৪ ট্রাকে ৯২৪ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। এদিকে, দুই দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে তিন টাকা করে বেড়েছে।
দুই দিন আগে এ বন্দরে পেঁয়াজ ৪৬ টাকা দরে বিক্রি হলেও এখন বেড়ে ৪৭ থেকে ৪৯ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দাম বাড়তে থাকায় বিপাকে পড়েছেন পেঁয়াজ কিনতে আসা পাইকাররা।
হিলি স্থলবন্দর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। ইন্দোর ও বেলোরি দুই জাতের পেঁয়াজই ভারত থেকে বাংলাদেশে আসছে। বন্দরে বেলোরি জাতের পেঁয়াজ ৪৭ টাকা এবং ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ ৪৮ থেকে ৪৯ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে, বন্দর থেকে অনেক পেঁয়াজ খালাস করে তা বিক্রি না করে গুদামে নামাতে দেখা গেছে।
হিলি স্থলবন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা ইয়াসিন মোল্লা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। এ অবস্থায় আমরা পেঁয়াজ কেনা নিয়ে সংশয়ে আছি। গতকাল যে দামে কিনেছি, আজ তার চেয়ে কেজিপ্রতি ২/৩ টাকা দাম বাড়তি।’
বন্দরের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী সিদ্দিক হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বাজারে দেশীয় পেঁয়াজের সরবরাহ কমায় ও দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় আমদানি করা এ পণ্যের চাহিদা বেড়েছে। একইসঙ্গে ভারতে অতিবৃষ্টি ও বন্যার কারণে কিছু অঞ্চলে পেঁয়াজ নষ্ট হয়েছে, ফলে সরবরাহ কমায় দাম বাড়তির দিকে রয়েছে। বাড়তি দামে পেঁয়াজ আমদানির কারণেই দেশের বাজারে দাম বাড়ছে। এর ওপর সোমবার (১১ অক্টোবর) থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ছয় দিন আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকবে। একইভাবে দেশের বিভিন্ন বন্দর দিয়েও আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকবে, ফলে দেশের বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিতে পারে। তবে বন্ধের পর আমদানি-রফতানি শুরু হলে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম কমে যাবে।’
বন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘পেঁয়াজ আমদানি আগের তুলনায় বেড়েছে। বন্দর দিয়ে শনিবার একদিনেই ৩৪ ট্রাকে ৯২৪ টন পেঁয়াজ দেশে প্রবেশ করেছে। যেখানে বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) বন্দর দিয়ে ২০ ট্রাকে ৫০৪ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল।’