জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমান বলেছেন, ‘পুলিশকে ট্রমাটাইজেশন থেকে তুলে আনতে হবে। পুলিশকে মোরালি আপ করতে হবে। পুলিশকে সাহস দেওয়ার জন্য আর্মি আনা হয়েছে। আর্মিকে সাহস দেওয়ার জেন্য ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেওয়া হয়েছে। এভাবে আর কতদিন? মানুষকে স্বাভাবিক করতে হবে। সমস্যা ছিল আছে থাকবে। এটাকে মিনিমাইজ করতে হবে। সমস্যা সমাধান করতে হবে। সমাধানের একমাত্র প্রতিষ্ঠান হলো ডিস্ট্রিক্ট অ্যাডমিনেস্ট্রেশন।’
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রংপুর স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের উদ্যোগে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সিনিয়র সচিব বলেন, ‘অনেক দেশের প্রধানমন্ত্রী, প্রেসিডেন্ট তরুণ-যুবক বয়সের। আমাদের আশ্চর্য হওয়ার কিছু নাই। তরুণ-যুবক তারাই অনেক কিছু করেছে এবং করবে। এটাই সত্য। এখন বয়স্কদের ছাড় দিতে হবে, ইয়ুথদের নেতৃত্বই মানতে হবে। এখন আমাদের মতো বয়স্কদের ছাড় দিয়ে যুবকদের নেতৃত্ব মানতে হবে। আমরা এই পর্যায়ে (বয়স্ক) যারা অনেক কিছু দাবি করি, আমাদের দাবি উইথড্রো করতে হবে। ১৬ বছর বয়সে আমরা কিছু করতে পারিনি। সামনেও সুযোগ নাই। যারা করেছে তাদেরকে করার সুযোগ করে দিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘ব্রিটিশ আমলে সিভিল সার্ভিসের যখন জন্ম হয় তখনি চাকরিতে ঢোকার বয়স ছিল ১৯। আর আমরা নানান আন্দোলন করে ৩২ এ নিয়ে গেছি। এখনও বলা হয় ৩৫ করা হোক। ১৯ বয়সে যদি কেউ ব্যারিস্টার হতে পারে, তাহলে আমরা কেন এই বয়সে আড্ডা মারবো।’
তিনি বলেন, ‘পীরগঞ্জে শুকনো জায়গায় মেরিন একাডেমি করা হয়েছে। এটা যদি ভালোভাবে না চলে তাহলে অন্য কিছু করতে হবে। পীরগঞ্জে আমরা ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট করার পরিকল্পনা করেছি।’
এই সরকারি কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘রংপুরকে শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা পৃথিবী এখন একনামে চেনে রংপুরকে। সেখানে শুয়ে আছেন জুলাই বিপ্লবের মহানায়ক শহীদ আবু সাঈদ। জুলাই বিপ্লবের পর ৩/৪ দিন সরকার ছিল না। কোনও বাহিনী ছিল না। তখন স্টুডেন্টরা চালিয়েছিল। আপনারা চালিয়েছিলেন। কিন্তু তখন সেই লেবেলের কোনও অপরাধ হয়নি। রাস্তায় ট্রাফিক ছিল না। কাজেই এগুলোকে মূল্যায়ন করতে হবে। এগুলোকে স্ট্রাকচারাল মর্যাদা দিতে হবে। ভবিষ্যতে যুবকরা নেতৃত্বে আসছে এটা মানতে হবে।’
রংপুর বিভাগীয় কমিশনার শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক এ কে এম আব্দুল্লাহ খান, রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি আমিনুল ইসলাম, মহানগর পুলিশ কমিশনার মজিদ আলীসহ অন্য কর্মকর্তারা।
এ সময় রংপুর বিভাগের আট জেলার প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। পরে জনপ্রশান সচিব বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।