সিলেটের সীমান্তবর্তী উপজেলা জকিগঞ্জের পশ্চিম আনন্দপুর গ্রামে গ্যাসকূপের খনন কাজ শেষ হলেও শেষ হয়নি যন্ত্রাংশ মেরামতের কাজ। সেই সঙ্গে এলোমেলো অবস্থায় ফেলে রাখা হয়েছে কোটি টাকার যন্ত্রাংশ। এখানে কর্মকর্তা-কর্মচারী কেউ নেই, শুধু আছেন চার-পাঁচ জন নিরাপত্তা কর্মী। সোমবার (৯ আগস্ট) বেলা ৩টার দিকে এমন চিত্র দেখা গেছে।
প্রায় সাড়ে তিন বছর চেষ্টা চালিয়ে ২৮তম এই গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান পায় বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি (বাপেক্স)। গত ১৫ জুন সকালে এখানে ডিএসটি (ড্রিল স্টিম টেস্ট) সৌভাগ্য শিখা জ্বালাতে সক্ষম হয় রাষ্ট্রীয় এ কোম্পানিটি।
দায়িত্বরত নিরাপত্তাকর্মী সুহেল আহমদ ও সেলিম মিয়া বলেন, ‘যতটুকু জানি কূপ খননের কাজ শেষ হয়েছে। এরপর যন্ত্রপাতি লাগানোর কাজ শুরু হওয়ায় কয়েকদিনের মধ্যে কাজ বন্ধ করা হয়। এরপর আর কাজ শুরু হয়নি। যন্ত্রপাতি দেখাশোনার পাশাপাশি কূপের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছি আমরা।’
জানা যায়, এখানে উত্তোলনযোগ্য ৫০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুত আছে। সেখান থেকে গ্রিডে দৈনিক ১০ মিলিয়ন যুক্ত হবে। ১০ থেকে ১২ বছর এই গ্যাস উত্তোলন করা সম্ভব হবে।