X
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪
১৬ বৈশাখ ১৪৩১
সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনা

ভাটিপাড়া গ্রামে কান্নার রোল

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
০৭ জুন ২০২৩, ১৫:৫৩আপডেট : ০৭ জুন ২০২৩, ১৭:০৯

কেউ হারিয়েছেন সন্তান, কেউ হারিয়েছেন স্বামী, কেউ ভাই। স্বজনহারাদের কান্নায় ভারী হয়ে উঠেছে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রাম। নিহতদের বাড়িতে বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। শোকাচ্ছন্ন স্বজনরা লাশ আসার প্রহর গুনছেন। বুধবার (৭ জুন) সকালে ভাটিপাড়ার গ্রামের আকাশে কান্নার রোল পড়েছে। 

সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় ট্রাক-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ১৪ জনের মধ্যে সাত জন ভাটিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। তারা হলেন- ভাটিপাড়া গ্রামের সৌরভ (২৫), সাধু মিয়া (৪০), তায়েফ নুর (৪৫), সাগর (১৮), রশিদ মিয়া (৪০), বাদশা মিয়া (৪৫) ও সায়েদ নুর (৫৫)। 

এই গ্রামের ১২টি মহল্লার মধ্যে গাংপাড়হাটি, বাজারহাটি, চৌধুরীবাড়ি, পূর্বপাড়া আলীনগর হাটির সাতটি বাড়িতে চলছে স্বজনহারাদের বিলাপ। 

জানা গেছে, হাওরে ফসল কাটার পর এলাকায় কর্মসংস্থান না থাকায় এই গ্রামের নির্মাণশ্রমিকরা সিলেটে গিয়েছিলেন কাজ করতে। তাদের  কেউ কেউ আসন্ন ঈদের খরচ যোগাড় করতে গিয়েছিলেন ভবনের ছাদ ঢালাইয়ের কাজ করতে।

 

আরও পড়ুন: সিলেটে ট্রাক-পিকআপ সংঘর্ষে নিহতদের ১২ জন সুনামগঞ্জের

 

ভাটিপাড়া গ্রামের স্বজনহারারা এখন মরদেহ আসার প্রহর গুনছেন। অতি দরিদ্র এসব পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম সদস্যদের হারিয়ে নির্বাক তারা। আশপাশের গ্রাম গুলোতে মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ায় নিহতদের বাড়িতে দলে দলে আসছেন তারা।  

ভাটিপাড়ার বাজারে জটলা বেঁধে স্থানীয়রা টিভিতে দেখছেন দুর্ঘটনার খবর। কেউ কেউ মোবাইল দিয়ে আহতদের সব শেষ খবর জানছেন। 

নিহত রশিদ মিয়ার স্ত্রী রাফিছা বেগম জানান, ছয় মাস আগে একমাত্র মেয়ের বিয়ে দেওয়া হয়েছে। মেয়ের বিয়ের ঋণের টাকা পরিশোধ করতে রশিদ শনিবার সিলেটে ছাদ ঢালাইয়ের কাজ করতে যান। পরিবারে আয় করার মতো আর কেউ নেই। 

ভাটিপাড়ার গ্রামের মাছিন কাজী জানান, গ্রামের অনেক লোক সিলেটে ১২ মাস ছাদ ঢালাইয়ের কাজ করেন। তারা সিলেটে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে ছাদ ঢালাই, সড়ক ঢালাইয়ের কাজ করেন। মজুরি নগদ তাই এই কাজে গ্রামের দরিদ্র মানুষ কাজে যান। কেউ কেউ স্থায়ীভাবে সিলেটে থেকে এই কাজ করেন।

/আরআর/
সম্পর্কিত
বাসচাপায় মাইক্রোবাসের ২ যাত্রী নিহত
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেলো ব্যবসায়ীর
মাহিন্দ্র উল্টে চালকসহ ২ জন নিহত
সর্বশেষ খবর
বেসরকারি শিক্ষকদের বদলি নীতিমালা প্রণয়নের নির্দেশ
বেসরকারি শিক্ষকদের বদলি নীতিমালা প্রণয়নের নির্দেশ
মহসিনকে পেয়ে আবেগে আপ্লুত সাব্বির-কায়সার-বিপ্লবরা
মহসিনকে পেয়ে আবেগে আপ্লুত সাব্বির-কায়সার-বিপ্লবরা
দুবাইয়ে তৈরি হচ্ছে বিশ্বের বৃহত্তম বিমানবন্দর
দুবাইয়ে তৈরি হচ্ছে বিশ্বের বৃহত্তম বিমানবন্দর
ওষুধের দাম নিয়ে যে নির্দেশ দিলেন হাইকোর্ট
ওষুধের দাম নিয়ে যে নির্দেশ দিলেন হাইকোর্ট
সর্বাধিক পঠিত
থেমে যেতে পারে ব্যাংকের একীভূত প্রক্রিয়া
থেমে যেতে পারে ব্যাংকের একীভূত প্রক্রিয়া
‘হিট অফিসার’: পদ কীভাবে নেতিবাচক হয়ে ওঠে
‘হিট অফিসার’: পদ কীভাবে নেতিবাচক হয়ে ওঠে
প্রাথমিক বাদে সোমবার ৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ
প্রাথমিক বাদে সোমবার ৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ
শরীরের তাপ কমায় এই ৮ খাবার
শরীরের তাপ কমায় এই ৮ খাবার
ভেসে আসা ‘টর্পেডো’ উদ্ধারে কাজ করছে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড
ভেসে আসা ‘টর্পেডো’ উদ্ধারে কাজ করছে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড