সিলেটের সুলতানস ডাইনের খাসির মাংস সরবরাহ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। মাংস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান নগরীর দাঁড়িয়াপাড়ার একটি বাসা ভাড়া নিয়ে সেখানে যত্রতত্রভাবে বস্তাবন্দি করে খাসির মাংসের গুদাম তৈরি করে রাখে। তীব্র দুর্গন্ধে স্থানীয়রা গুদামটির খোঁজ করতে গিয়ে এসব ধরা পড়ে। এ নিয়ে তোপের মুখে পড়েছে সুলতানস ডাইন কর্তৃপক্ষ।
ফেসবুকে বস্তাবন্দি খাসির মাংস সংগ্রহের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ায় ইতোমধ্যে কমে গেছে সুলতানস ডাইনের ক্রেতা।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) রাতে সিলেট নগরীর দাঁড়িয়াপাড়া এলাকার মেঘনা-বি-৩৩ ইমন হাউজিংয়ে রক্ষিত মাংসের গুদাম থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে অভিযান চালান স্থানীয়রা। জানা যায়, নগরীর দাঁড়িয়াপাড়া এলাকার ইমন হাউজিং এলাকার একটি ভাড়াবাসা থেকে গত কয়েকদিন ধরে দুর্গন্ধে বেশ অতিষ্ঠ ছিলেন আশপাশের বাসিন্দারা। পরে স্থানীয় কয়েকজন যুবক বাসাটি শনাক্ত করার পর একটি কক্ষে গিয়ে দেখতে পান খাসির মাংস বরফ দিয়ে বস্তাবন্দি করে রাখা।
মাংস সরবরাহকারী মা-বাবার দোয়া প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী মোহাম্মদ সুমন বলেন, ‘সুলতানস ডাইনের খাসির মাংস ঢাকার কাপ্তানবাজার থেকে বস্তায় ভরে বাসে করে সিলেটের কদমতলীতে আসে। সেখান থেকে আমরা কয়েকজন গিয়ে সেগুলো এখানে নিয়ে আসি। পরে মাংসের সাইজ করে সুলতান’স ডাইনে সাপ্লাই দিই।’
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিদিন ২০০-২৫০ কেজি খাসির মাংস ঢাকা থেকে নিয়ে আসি এবং সকালে এনে সেগুলো বিকালে সাপ্লাই দিই।’ তবে সেগুলোতে এত দুর্গন্ধ থাকার কারণ সঠিকভাবে বলতে পারেননি তিনি।
দাঁড়িয়াপাড়ার বাসিন্দা আলমগীর কুমকুম বলেন, ‘এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ায় স্থানীয় যুবকরা বাসাটিতে তল্লাশি চালিয়ে যত্রতত্রভাবে রাখা বস্তাবন্দি খাসির মাংস দেখতে পান। এসব মাংস ঢাকা থেকে বস্তাবন্দি করে নিয়ে এসে সিলেটের সুলতানস ডাইনে সরবরাহ করা হয়।’
এ বিষয়ে সুলতানস ডাইন সিলেট শাখার ম্যানেজার (অপারেশন) জুলকার আহমদ বলেন, ‘আমরা প্রতিদিনের মাংস প্রতিদিনই কাজে লাগাই। কোনও ফ্রোজেন মাংস আমরা ব্যবহার করি না। পচা মাংস দিয়ে রান্না করা ও সরবরাহ করার কোনও প্রশ্ন আসে না।’ ঢাকার কাপ্তানবাজারে জবাই করা খাসির মাংস কীভাবে সিলেটে এনে ব্যবহার করেন এমন প্রশ্নে তিনি কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি।
এ ব্যাপারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণ অধিদফতর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শ্যামল পুরকায়স্থ বলেন, ‘সুলতানস ডাইনের খাবারের সার্বিক বিষয় খতিয়ে দেখা হবে।’