একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেটের বালাগঞ্জের আজিজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্র দখল নিয়ে সংঘর্ষে উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সায়েম আহমদ (২৪) গুলিতে নিহত হন। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে নিহতের পরিবার।
গতকাল বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) হত্যা মামলার আসামি উপজেলার পশ্চিম গৌরীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আমির হোসেন নুরুকে (৫৯) কোতোয়ালি থানাধীন কেওয়াপাড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করে র্যাব। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকালে পুলিশি প্রহরায় তাকে আদালতে আনা হলে এ সময় মারধরের শিকার হন তিনি।
গ্রেফতার আমির হোসেন নুরু বালাগঞ্জের আজিজপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রউফের ছেলে।
জানা যায়, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-৩ আসনের অন্তর্ভুক্ত বালাগঞ্জের পশ্চিম গৌরীপুর ইউনিয়নের আজিজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোটকেন্দ্রে জাল ভোট প্রদানে বাধা প্রদান করায় উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সায়েম আহমদ সুহেলকে গুলি করে হত্যা করা হয়। পরে নিহত সায়েম আহমদ সুহেলের চাচাতো ভাই পশ্চিম গৌরীপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমান বাদী হয়ে ৫ জনের নামোল্লেখ করে ও ২৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করেন।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেন র্যাব-৯-এর সহকারী পুলিশ সুপার মো. মশিহুর রহমান সোহেল। তিনি জানান, হত্যাকাণ্ডের পর প্রধান আসামিকে নুরু আত্মগোপনে চলে যান। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে তাকে মহানগরী এলাকা থেকে গ্রেফতার করে র্যাব।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার বিকালে কঠোর নিরাপত্তায় পুলিশ নুরুকে আদালতে নিয়ে আসে। আদালত ভবনে তোলার সময় তাকে কয়েকজন কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। এ সময় পুলিশ তাদের বাধা দেয়। হামলায় তার নাক দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে।