চীনের হুবেই প্রদেশে হঠাৎ করেই করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়েছে। বুধবার ২৪২ জনের মৃত্যুর ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে, যা এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ। এদিন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ১৪ হাজার ৮৪০ জন। বলা হচ্ছে, সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর এটিই ভয়ালতম দিন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান শহরের একটি বন্যপ্রাণীর বাজার থেকে ছড়িয়ে পড়ে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস। একপর্যায়ে এই ভাইরাস নিয়ে বিশ্বজুড়ে জরুরি স্বাস্থ্য পরিস্থিতি (হেলথ ইমার্জেন্সি) ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও। এখন পর্যন্ত অন্তত ২৮টি দেশে শনাক্ত হয়েছে এই ভাইরাস। সরকারি হিসেবে মঙ্গলবার পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ছিল ১১১৩ জন। এছাড়া আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৪৪ হাজার ৬৫৩ জন।
একদিন আগেও হুবেই প্রদেশে সংক্রমণ পরিস্থিতিতে কিছুটা স্থিতিশীলতা লক্ষ্য করা যাচ্ছিল। তবে হঠাৎ এই মৃতের নতুন এই সংখ্যায় করোনা ভাইরাসে মৃত্যুর মোট সংখ্যা এখন ১৩০০ এরও বেশি। আর মোট আক্রান্তের সর্বশেষ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬০ হাজার জনে। এখন অবশ্য যাদের শরীরে রোগের লক্ষণ প্রকাশিত হচ্ছে তাদেরকেও সংক্রমিত হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে।চীনে যত মানুষ সংক্রমিত হয়েছে তার ৮০%ই হুবেই প্রদেশে রয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, নতুন প্রক্রিয়ার কারণে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি দেখানো হয়ে থাকতে পারে। যাদের শরীরে করোনাভাইরাসের লক্ষণ দেখা যাবে, এবং সিটি স্ক্যানের মাধ্যমে ফুসফুসের সংক্রমণ দেখা যাবে তাদেরকেও করোনাভাইরাস সংক্রমিত বলা হবে। এর আগে যথাযথ পরীক্ষা করে ভাইরাসের উপস্থিতি পেলেই তাকে সংক্রমিত বলা হতো।
উহানে বুধবার মারা যাওয়া ২৪২ জনের মধ্যে ১৩৫ জনই ছিলো নতুন এই সংজ্ঞার অধীনে কোভিড-১৯ আক্রান্ত। নতুন এই করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদেরকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখন কোভিড-১৯ বলেই অভিহিত করছে। যার পূর্ণ রূপ হচ্ছে 'করোনাভাইরাস রোগ ২০১৯'।