পারমাণবিক সাবমেরিনের বিনিময়ে তাইওয়ানের সুরক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রকে সমর্থনের কোনও প্রতিশ্রুতি দেয়নি অস্ট্রেলিয়া। রবিবার (১৯ মার্চ) এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রিচার্ড মারলেস। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
বহু বছর ধরেই তাইওয়ানকে নিজ ভূখণ্ড হিসেবে দাবি করে দ্বীপ রাষ্ট্রটি পুনর্দখল করার লক্ষ্যের কথা জানিয়ে আসছে চীন। তবে এখন পর্যন্ত সরাসরি কোনও আক্রমণ করেনি বেইজিং। চীন যদি আক্রমণ করে তাহলে তাইওয়ানকে সহযোগিতা ও রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
গত কয়েক বছর ধরে প্রশান্ত মহাসাগরে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সামরিক সম্পর্ক গড়ে তুলছে অস্ট্রেলিয়া। সম্প্রতি যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া যৌথভাবে একটি সাবমেরিন বহর নির্মাণের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে।
তাইওয়ান আক্রান্ত হলে যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপকে সমর্থনের কোনও প্রতিশ্রুতি অস্ট্রেলিয়া দেয়নি বলে উল্লেখ করেছেন রিচার্ড মারলেস। তিনি বলেন, ‘অবশ্যই এরকম কোনও প্রতিশ্রুতি আমরা দেইনি, তারাও এমন কিছু চায়নি।’
এ বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার ক্ষমতাসীন মধ্য-বাম পার্টি বলছে, চীনের সামরিক শক্তিকে প্রতিহত করতে তাইওয়ান অঞ্চলে প্রায় ২৪ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের আর্থিক চুক্তি প্রয়োজন যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে সর্বোচ্চ।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (১৩ মার্চ) ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে কয়েক দশক ধরে আলোচনায় থাকা ত্রিপক্ষীয় আকসু চুক্তির প্রকল্পের বিস্তারিত প্রকাশ করেছে। এ চুক্তির আওতায় মার্কিন ভার্জিনিয়া শ্রেণির পারমাণবিক সাবমেরিন কিনবে অস্ট্রেলিয়া। এর পাশাপাশি ব্রিটেন ও অস্ট্রেলিয়া নতুন ধরনের পারমাণবিক সাবমেরিন তৈরির প্রকল্প ঘোষণা করা হয়েছে।
তবে আকসু চুক্তি সত্ত্বেও চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী ওয়াং ওয়েন্তাও এর সঙ্গে পরিকল্পিত বৈঠক নিয়ে আশাবাদী অস্ট্রেলীয় বাণিজ্যমন্ত্রী ডন ফেরেল। ফেরেল বলছেন, অস্ট্রেলিয়া-চীন সম্পর্কের বরফ গলার ইঙ্গিত ছিল চীনের সঙ্গে গত মাসের আলোচনা।
/এটি/এএ/