লস অ্যাঞ্জেলেসের প্যালিসেইডস পাহাড়ি এলাকায় দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়া আগুন নিয়ন্ত্রণে বিমান থেকে পানি ও আগুন নির্বাপক রাসায়নিক ছিটানো হচ্ছে। বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় প্রায় ৭০ মাইল পর্যন্ত পৌঁছানোর আশঙ্কার মধ্যেই শনিবার (১১ জানুয়ারি) ভূমি ও আকাশ থেকে যৌথভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন দমকলকর্মীরা। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়া প্যালিসেইডসের দাবানলে আরও বাড়তি হাজারখাকেন একর এলাকা আক্রান্ত হয়েছে।
ক্যালিফোর্নিয়া দমকলবাহিনীর কর্মকর্তা টড হপকিন্স শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এখন পর্যন্ত ১১ শতাংশ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। তবে এটি ইতোমধ্যে ২২ হাজার একর এলাকা পুড়িয়ে দিয়েছে।
তিনি আরও জানান, ম্যান্ডেভিল ক্যানিয়ন এলাকায় দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। এটি ব্রেন্টউডের অভিজাত এলাকায় ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও দেখা যাচ্ছে। সেখানে অনেক সেলিব্রিটি বসবাস করেন। এটি সান ফার্নান্দো ভ্যালি ও উত্তর-দক্ষিণমুখী ৪০৫ ফ্রিওয়ের কাছেও পৌঁছেছে।
মার্কিন জাতীয় আবহাওয়া পরিষেবা (এনডব্লিউএস) সতর্ক করে জানিয়েছে, শনিবার রাত থেকে রবিবার সকাল ও সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত লস অ্যাঞ্জেলেস ও ভেন্টুরা কাউন্টিতে সান্তা অ্যানা বাতাসের গতিবেগ আরও তীব্র হবে। বাতাসের গতি ঘণ্টায় ৩০ মাইল পর্যন্ত হতে পারে এবং ঝড়ো হাওয়ার গতি ঘণ্টায় ৭০ মাইল পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।
লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টি শেরিফ রবার্ট লুনা বলেছেন, লস অ্যাঞ্জেলেসের বিভিন্ন স্থান থেকে এখন পর্যন্ত মোট এক লাখ ৫৩ হাজারের বেশি বাসিন্দাকে সরে যেতে বলা হয়েছে। আরও এক লাখ ৬৬ হাজার বাসিন্দার নিরাপদ স্থানে আশ্রয়ের জন্য সরে যাওয়ার প্রয়োজন হতে পারে বলে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
লস অ্যাঞ্জেলেসের ইতিহাসের ভয়াবহতম দাবানলে পুরো এলাকা যেন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। শুক্রবার রাতে জোরালো সান্তা অ্যানা বাতাসের বেগ কিছুটা ধরে এলেও, শনিবার প্রশান্ত মহাসাগরের দিক থেকে আসা বাতাসে প্যালিসেইডস দাবানল আবারও তীব্রভাবে ছড়িয়ে পড়ে।