কঙ্গোর বৃহত্তম শহর গোমার বিমানবন্দর দখল করে নিয়েছে বিদ্রোহীরা। মঙ্গলবারের (২৮ জানুয়ারি) এই ঘটনায় শহরে থাকা হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত মানুষের কাছে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানো বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে রাজধানী শহরে একাধিক দূতাবাসে হামলা চালিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টেফানি ডুজারিক বলেছেন, কঙ্গোর পরিস্থিতি এখন খুব অস্থিতিশীল। শহরের ভেতরে বিদ্রোহীরা শক্ত অবস্থান নিয়েছে এবং বিমানবন্দর তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকার কথা তাদের কানে এসেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বিদ্রোহী এম ২৩ গোষ্ঠী সোমবার দেশটিতে অনুপ্রবেশ করে। রুয়ান্ডা গণহত্যার প্রভাবে প্রায় তিন দশক ধরে চলা দ্বন্দ্বে এত বেশি অস্থিরতা শেষবার দেখা গিয়েছিল ২০১২ সালে। বিদ্রোহীরা শহরের দখল নেওয়ার পর রাস্তাঘাটে মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা গেছে বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়।
ডুজারিক জানিয়েছেন, পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীরা নিজেদের ঘাঁটিতে প্রাণ রক্ষার্থে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন। শহরজুড়ে অস্ত্রের ব্যাপক বিস্তার ঘটেছে। ফলে আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার মারাত্মক ঝুঁকি রয়েছে।
এদিকে, গোমার এক হাজার ৬০০ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত দেশটির রাজধানী কিনশাসাতে চলছে বিক্ষোভে নেমেছেন মানুষ। তাদের দাবি, বিদেশি শক্তির হস্তক্ষেপের কারণেই আজকের এই দুরবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। তাদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হয় স্থানীয় জাতিসংঘ কার্যালয় এবং রুয়ান্ডা, ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে ভাঙচুর চালানোর মধ্য দিয়ে।
অজ্ঞাত একদল লোক কেনিয়ার দূতাবাসে লুটপাট চালিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কঙ্গোতে অবস্থানরত দূতাবাস কর্মীদের দেশত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তাদেরকে বুধবারের মধ্যে কঙ্গো ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তৃতীয় এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, কেবল জরুরি কাজে নিয়োজিত নন, এমন কর্মীদেরই কঙ্গো ত্যাগ করতে বলেছে যুক্তরাষ্ট্র।