রুশ আইনের আদলে নতুন একটি প্রস্তাব পেশ করেছেন কাজাখ আইনপ্রণেতারা। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) উত্থাপিত এই প্রস্তাবে বিদেশি এজেন্টদের আনাগোনা ঠেকাতে আইন করার আহ্বান জানিয়েছেন তারা। সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা দমাতে প্রায় এ ধরনের পদক্ষেপ আইন রয়েছে রাশিয়ায়। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
দেশটির প্রেসিডেন্ট কাসিইম জোমারত তোকায়েভের প্রতি অনুগত বামপন্থি বিরোধী দল দ্য পিপলস পার্টি এই প্রস্তাব তুলেছে। তাদের দাবি, এর মাধ্যমে কাজাখস্তানের সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত হবে।
অবশ্য এই প্রস্তাবের বিষয়ে ক্ষমতাসীন আমানত পার্টি বা সরকার কেউই কোনও মন্তব্য করেনি।
প্রস্তাবিত আইনটির বিস্তারিত এখনও প্রকাশ করা হয়নি। তবে অন্যান্য সাবেক সোভিয়েত রাষ্ট্রে গৃহীত অনুরূপ আইনের আওতায় বিদেশি তহবিল গ্রহণকারী সংগঠন বা ব্যক্তিদের নিজেদের বিদেশি এজেন্ট হিসেবে নাম লেখাতে হয় এবং কঠোর আর্থিক নজরদারির সম্মুখীন হতে হয়।
২০১২ সালে বিদেশি এজেন্ট সংক্রান্ত প্রথম আইন চালু করে রাশিয়া। এরপর থেকেই ক্রেমলিনের নীতির সমালোচনা দমাতে এই আইনের ব্যাপ্তি বৃদ্ধি করেছে মস্কো।
ব্যাপক জনরোষ সত্ত্বেও গত বছর প্রায় একই ধাঁচের একটি আইন গায়ের জোরে পাশ করিয়েছে জর্জিয়া সরকার।
১৯৯১ সালে সোভিয়েত পতনের পর স্বাধীন হয় তেল-গ্যাস সমৃদ্ধ কাজাখস্তান। তখন থেকেই কর্তৃত্ববাদী ধাঁচে পরিচালিত হচ্ছে দেশটি। তবে ২০১৯ সালে নুর সুলতান নাজারবায়েভ থেকে ক্ষমতা পাওয়ার পর কর্তৃত্ব কিছু শিথিল করেছে বর্তমান শাসক তোকায়েভ।