থাইল্যান্ডে প্রতারণা চক্রের উৎপাত বন্ধে চলমান অভিযানে কেবল সাধারণ কিছু কর্মীকেই উদ্ধার করা গেছে। প্রতারণা ব্যবসা বন্ধে আরও ব্যাপক ও সম্পূরক পদক্ষেপ নেওয়ার বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির বিরোধীদলীয় এক আইনপ্রণেতা। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
থাইল্যান্ড-মিয়ানমার সীমান্তে চলছে এই অভিযান। মিয়ানমারের মিয়াওয়াড্ডি অঞ্চলে চীনের সমর্থনে প্রতারকদের প্রতিহত করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে থাইল্যান্ড। এসব প্রতারণা চক্রে অনেক কর্মীকে বিভিন্নভাবে কাজ করতে বাধ্য করা হয়।
সীমান্ত অঞ্চলের প্রতারণা চক্রের কাছে কোটি কোটি ডলার খুইয়েছেন থাইরা। এ নিয়ে দেশটির অন্যতম সরব মানুষ হচ্ছেন পার্লামেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা এবং সীমান্ত বিষয়ক পরিষদের সভাপতি রাংসিমান রোম। রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছে, মিয়াওয়াড্ডি প্রতারণা চক্রগুলোতে তিন লাখের বেশি মানুষ কর্মরত। অথচ তাদের মধ্যে কেবল হাজার দশেককে উদ্ধার করা গেছে।
জাতিসংঘের মতে, এসব অপরাধী চক্র বিগত কয়েক বছরে দক্ষিণ এশিয়াজুড়ে মানব পাচারের এক বিশাল নেটওয়ার্ক তৈরি করেছে। মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে তারা ইতোমধ্যে হাজার হাজার মানুষকে পাচারও করেছে।
সীমান্ত এলাকায় সশরীরে ভ্রমণ করেছে রোম। তিনি বলেছেন, সেখানে পুরো প্রতারণা সাম্রাজ্য বহাল তবিয়তেই টিকে আছে। আমরা কেবল তাদের আশপাশ দিয়ে ঘুরছি।
মিয়াওয়াড্ডি এলাকায় ৪০টির বেশি প্রতারণা চক্রের অবকাঠামো আছে দাবি করলেও কোনও প্রমাণ উপস্থাপন করেননি রোম। তিনি বলেছেন, সরকারের এখন থেমে যাওয়া উচিত হবে না। নইলে তারা তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাবে।
বৃহস্পতিবার পার্লামেন্টে বক্তব্য প্রদানকালে থাই প্রধানমন্ত্রী পায়েতোংতার্ন শিনাওয়াত্রা বলেছেন, প্রতারণা চক্র ইস্যুকে জরুরি সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে সমাধানের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে সরকার।
মিয়াওয়াড্ডি এবং সীমান্তবর্তী অন্যান্য শহরে প্রতারণা চক্র দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় থাকলেও গত মাসে থাইল্যান্ডে চীনা অভিনেতা ওয়াং শিংয়ের অপহরণের ঘটনায় তারা একদম প্রধান খবরে পরিণত হয়। ওই অভিনেতাকে পরে মিয়াওয়াড্ডি থেকে উদ্ধার করে চীনে ফেরত পাঠানো হয়।