কুরস্ক অঞ্চল থেকে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীকে পুরোপুরি বিদায় করার শেষ ধাপে পৌঁছেছে রাশিয়া। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকোভের বরাতে বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) এই দাবি করেছে রুশ বার্তাসংস্থা তাস। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
শীর্ষ রুশ সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে সামরিক সাজে সজ্জিত হয়ে বুধবার বৈঠক করেছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বৈঠকে রাশিয়ার চিফ অব জেনারেল স্টাফ ভ্যালেরি জেরাসিমভ পুতিনকে বলেছেন, কুরস্কের প্রায় ১১০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা দখল করে নিয়েছিল কিয়েভের সেনারা। তবে প্রায় ৮৬ শতাংশ থেকে তাদের বিদায় করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেছেন, শেষ পাঁচ দিনে প্রায় ২৪টি বসতি ও প্রায় ২৫৯ বর্গকিলোমিটার ভূমি পুনরুদ্ধার করেছে রাশিয়া। এসময় চার শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়।
গত ৬ আগস্ট রাশিয়ায় অনুপ্রবেশ করে কুরস্ক অঞ্চলের অনেকখানি অংশ দখলে নেয় ইউক্রেন। তাদের আশা ছিল, এদিকে মনোযোগ দিলে অন্যান্য রণক্ষেত্রে রুশ শক্তি হ্রাস পাবে এবং ভবিষ্যতে কোনও সমঝোতায় এই ভূখণ্ড তাদের জন্য তুরুপের তাস হবে।
তবে পালটা আক্রমণ চালিয়ে প্রথম থেকেই ধীরে হলেও নিয়মিত কুরস্কে নিজেদের অবস্থান দৃঢ় করতে থাকে রাশিয়া।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে ইউক্রেন ৩০ দিনের জন্য যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার পর সমঝোতার বিষয়ে রাশিয়ার অবস্থান জানতে চেয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। তার পরই এই বৈঠকের ডাক দেন পুতিন। যুদ্ধবিরতিতে সম্মত না হলে রাশিয়ার জন্য আর্থিকভাবে তা মারাত্মক ভোগান্তির কারণ হবে বলে হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
পুতিন বলেছেন, সামনের দিনগুলোতে আমাদের অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে, যতদ্রুত সম্ভব কুরস্ক অঞ্চল শত্রুমুক্ত করা। পাশাপাশি, সীমান্তবর্তী এলাকায় নিরাপদ অঞ্চল প্রতিষ্ঠার বিষয়টিও আমাদের অবশ্যই গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে।