মে দিবসে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়েছে তুরস্কের পুলিশ। এদিন নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইস্তানবুলে জনসমাবেশ আয়োজন করা এবং তাসকিম স্কয়ার অভিমুখে যাত্রা করার কারণে কয়েকশ মানুষকে আটক করা হয়। অনেককে টেনেহিঁচড়ে পুলিশ বাসে তুলতেও দেখা গেছে। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলি ইয়েরলিকায়া বলেছেন, দেশজুড়ে ৭৮টি প্রদেশে অন্তত দুলাখ ৮৬ হাজার ৫৮৪ জন মানুষ বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন। সবমিলিয়ে ৪০৯ জনকে আটক করা হয়েছে।
ইস্তানবুলের শ্রমিকসংঘ এবং এনজিওগুলো বিক্ষোভের ডাক দিয়েছিল। শহরের মেয়র এবং প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ানের রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী একরেম ইমামোগলুর আটককে কেন্দ্র করে ইদানীং বিক্ষোভের তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার বৃষ্টিভেজা আবহাওয়াতেও বিক্ষোভকারীরা তাকসিম স্কয়ারের দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ ইস্তাম্বুলের বেসিকতাস ও শিসলি এলাকায় তাদের আটকে দেয়। পুলিশ ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করলে কিছু বিক্ষোভকারীর সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়।
ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, দাঙ্গা পুলিশ ও বিক্ষোভকারীরা একে অপরের দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ছে। আন্দোলনকারীরা পোস্টার হাতে নিয়ে স্লোগান দিচ্ছিলেন, আর পুলিশ তাদের জোর করে বাসে তুলে নিয়ে যাচ্ছিল।
আন্তর্জাতিক শ্রম দিবসে দেশটিতে প্রতিবছরই জনসমাবেশ আয়োজিত হয়। তবে পুলিশ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এসব সমাবেশে সম্পৃক্ত হচ্ছে। এছাড়া, বহু বছর ধরেই তাসকিম স্কয়ারের মিছিল-মিটিং নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
গত বছর মে দিবসে তাসকিম স্কয়ারের দিকে মিছিল নিয়ে অগ্রসরকালে দুই শতাধিক বিক্ষোভকারীকে আটক করে পুলিশ। ১৯৭৭ সালে, এই চত্ত্বরে মে দিবস বিক্ষোভকে ঘিরে সংঘর্ষের সৃষ্টি হলে ৩৪ জন প্রাণ হারান।
তাসকিম স্কয়ারে মিটিং-মিছিলে নিষেধাজ্ঞা মূলত সরকারের দুর্বলতা প্রকাশ করে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিরোধীদল রিপাবলিকান পিপলস পার্টির নেতা ওযগুর ওযেল। তিনি বলেছেন, এই নিষেধাজ্ঞায় প্রমাণিত হয়, ক্ষমতাসীন দলে আত্মবিশ্বাসের অভাব রয়েছে।