জাপানের টোকিও থেকে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের উদ্দেশে যাত্রা করছিল উড়োজাহাজটি। ১২ ঘণ্টার যাত্রার প্রায় নবম ঘণ্টায় এসে এক যাত্রী হঠাৎ উড়োজাহাজের দরজা খোলার চেষ্টা করেন। উপায়ান্তর না দেখে জরুরি অবতরণে বাধ্য হন পাইলট। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
জাপানি এয়ারলাইন অল নিপ্পন এয়ারওয়েজ (এএনএ) জানিয়েছে, শনিবার (২৪ মে) টোকিও থেকে উড্ডয়নের কয়েকঘণ্টা পর এক উচ্ছৃঙ্খল যাত্রীর কারণে যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলে জরুরি অবতরণে বাধ্য হয় ফ্লাইটটি (নং ১১৪)।
সিয়াটল পুলিশ জানিয়েছে, বিমান আকাশে থাকা অবস্থায় এক আরোহী দরজা খোলার চেষ্টা করেছিল বলে তাদের জানানো হয়েছে। ওই ব্যক্তির নাম পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, ওই ব্যক্তি কোনও একটি মানসিক ও শারীরিক সংকটের মধ্যে ছিলেন। অন্য আরোহীরা মিলে তাকে নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হবে কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
এএনএ জানিয়েছে, যাত্রী ও ক্রুদের নিরাপত্তাই আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। এ ঘটনায় সহায়তার জন্য স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আমাদের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ।
ওই ফ্লাইট থেকেই পরে আরেক যাত্রীকে বের করে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। উড়োজাহাজটি যখন সিয়াটল-টাকোমা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অপেক্ষা করছিল, তখন উচ্ছৃঙ্খল আচরণ শুরু করলে ওই ব্যক্তিকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
এরপর উড়োজাহাজটি আবার তার গন্তব্যে যাত্রা শুরু করে এবং চার ঘণ্টা বিলম্বে হিউস্টনের জর্জ বুশ ইন্টারকন্টিনেন্টাল বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
এই ঘটনার আগেও মাঝ আকাশে উড়োজাহাজের দরজা খুলতে যাওয়ার মতো কয়েকটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা সংবাদমাধ্যমে এসেছে।
গত মাসে বালি থেকে মেলবোর্নগামী এক ফ্লাইটে মাঝ আকাশে দরজা খোলার চেষ্টা করেন এক ব্যক্তি। পরে ফ্লাইটটি ফিরে আসতে বাধ্য হয়।
গত নভেম্বরে এক মার্কিন এয়ারলাইন্সে প্রায় একই ঘটনা মঞ্চস্থ হয়। তবে পরিণতি ছিল কিছুটা ভিন্ন। ওই যাত্রীকে পরাস্ত করে অন্য আরোহীরা ডাক্টটেপ দিয়ে বেঁধে রাখেন।