এক নৃশংস ঘটনার রেশ না কাটতেই আরেকটি ভয়াবহতার সম্মুখীন হলো কলম্বিয়া। মঙ্গলবার (১০ জুন) সিরিজ বোমা হামলায় কেঁপে উঠেছে দেশটির দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চল। এর কিছুদিন আগে দেশটির একজন সিনেটরকে হত্যার উদ্দেশ্যে জনসম্মুখে হামলা করা হয়। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিস্ফোরণের কারণে অন্তত সাতজন নিহত এবং অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।
কলম্বিয়ার পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর ধারণা, রেভ্যুলুশনারি আর্মড ফোর্সেস অব কলম্বিয়া বা ফার্কের থেকে সৃষ্ট কোনও গেরিয়া গোষ্ঠী মঙ্গলবারের হামলার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে।
কলম্বিয়াতে বোমা হামলার ঘটনা বিরল নয়। তবে সিনেটর মিগুয়েল উরিবেকে হত্যাচেষ্টার কয়েকদিন পরেই এই সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় জনমনে আতঙ্ক নতুন করে মাথাচাড়া দিচ্ছে। সশস্ত্র গেরিলা, প্যারামিলিশিয়া এবং মাদক চোরাচালানিদের অত্যাচারে দীর্ঘ কয়েক দশক তটস্থ থেকেছেন কলম্বিয়াবাসী।
শনিবার রাজধানী বোগোতায় এক নির্বাচনি প্রচারণা চলাকালে গুলিবিদ্ধ হন সামনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সম্ভাব্য পদপ্রার্থী উরিবে। তার অস্ত্রোপচার সফলভাবে সম্পন্ন হলেও তার অবস্থা এখনও সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
উরিবের সহধর্মিণী মারিয়া ক্লডিয়া তারাযোনা সাংবাদিকদের বলেছেন, কলম্বিয়ার কোনও পরিবারের এই যন্ত্রণা ভোগ করা উচিত নয়। এই যন্ত্রণার কোনও নাম নেই-এটি কষ্ট, আতঙ্ক বা দুঃখবোধ নয়।
কর্তৃপক্ষ সোমবার জানায়, উরিবের ওপর হামলার উদ্দেশ্য নিয়ে একাধিক দিক থেকে তদন্ত চলছে। এক কিশোরকে ইতোমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো জানান, সন্দেহভাজন ওই তরুণ পুলিশকে তার জবানবন্দি দিয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরমান্দো বেনেদেত্তির মতে, মঙ্গলবারের বোমা হামলা এবং উরিবের ওপর গুলির মধ্যে যোগসূত্র থাকতে পারে। তার দাবি, বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো মাদক পাচারের ওপর নির্ভরশীল হয়ে উঠছে, যদিও তিনি এর কোনও প্রমাণ পেশ করেননি।
প্রেসিডেন্ট পেত্রো ইতোমধ্যে সরকারি কর্মকর্তা ও বিরোধী দলীয় নেতাদের নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ দিয়েছেন।