একটি ভিডিও প্রযোজনা সংস্থার আট নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও এর কর্মীদের সশস্ত্র ঢাকাতির অভিযোগে দক্ষিণ আফ্রিকার একটি আদালতে হাজির হয়েছেন ৮০ জনের বেশি পুরুষ। জোহানেসবার্গের পশ্চিমে ক্রুগার্সডর্প শহরের একটি আদালতে সোমবার তারা হাজির হন। মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি এখবর জানিয়েছে।
অব্যবহৃত একটি খনির কাছে ধর্ষণ ও ঢাকাতির ঘটনা ঘটে। পরে পরিত্যক্ত খনি থেকে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়।
অভিযুক্তরা জামা-জামাস নামে পরিচিত অবৈধ খনি শ্রমিক। যারা জোহানেসবার্গ এলাকায় বন্ধ হয়ে যাওয়া খনি খাদে স্বর্ণ খনন করে। এসব অবৈধ খনি শ্রমিকদের বেশিরভাগ বিদেশি। স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, অবৈধ খনি শ্রমিকদের গ্যাং জামা-জামাস চক্র এলাকাটিতে বিভিন্ন অপরাধের জন্য দায়ী।
পুলিশের মতে, সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে গত বৃহস্পতিবার। প্রযোজনা সংস্থা কর্মীরা পরিত্যক্ত খনিটে একটি মিউজিক ভিডিও ধারণের সময় সশস্ত্র ব্যক্তিরা হামলা চালায়।
গাউটেং প্রদেশের পুলিশ কমিশনার লে. জেনারেল এলিয়াস মাওয়েলা এক বিবৃতিতে বলেছেন, প্রযোজনার সংস্থার ২২ কর্মী– ১২ নারী ও ১০ পুরুষ– মিউজিক ভিডিও রেকর্ডে ব্যস্ত ছিলেন যখন কম্বল পরা একদল সশস্ত্র লোক হামলা চালায়। অভিযুক্তরা সবাইকে শুয়ে পড়তে নির্দেশ দেয় এবং পরে আট নারীকে ধর্ষণ করে, বাকিদের সবকিছু নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
তিনি জানান, ক্রুদের সব ভিডিও সরঞ্জাম নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ ৩২ টি ধর্ষণের অভিযোগ তদন্ত করছে।
জাতীয় পুলিশমন্ত্রী ভেকি চেলে সোমবার বলেছেন, ধর্ষণকারীদের শনাক্ত করতে ধর্ষণের শিকার নারীর ডিএনএ নমুনার ব্যবহার করা হবে।
গ্রেফতারকৃত অপর সন্দেহভাজনদের বিরুদ্ধে অবৈধ অভিবাসন ও অবৈধ খননকাজের অভিযোগ আনা হবে।
এই সংঘবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদে তিন শতাধিক মানুষ ক্রুগের্সডর্প ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের বাইরে বিক্ষোভ করেছেন।