বলিভিয়ার সংবিধান অনুযায়ী কোনও ব্যক্তি টানা তিনবারের বেশি বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট হতে পারেন না। এ কারণে ২০১৯ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে এই ধারা পরিবর্তনের লক্ষ্যে সংবিধান সংশোধনীর জন্য গণভোটের আয়োজন করেন বলিভিয়ার প্রথম এই আদিবাসী প্রেসিডেন্ট। কিন্তু চূড়ান্ত ফলে ভোটারদের রায় না পেলে মোরালেসের সেই আশা আর আলোর মুখ দেখবে না। এখন প্রশ্ন, আবারও কি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন মোরালেস? হতে পারবেন চতুর্থ দফায় নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট?
বুথফেরত জরিপগুলো আভাস দিয়েছে চতুর্থ দফায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য আয়োজিত গণভোটে সামান্য ব্যবধানে পরাজিত হতে পারেন বলিভিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেস (৫৬)। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি খবরটি নিশ্চিত করেছে।
একটি জরিপে দেখা গেছে, সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাবের বিপক্ষে ৫২ দশমিক ৩ শতাংশ ভোট পড়েছে। প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়েছে ৪৭ দশমিক ৭ শতাংশ। অন্য একটি জরিপে অবশ্য মোরালেসের পক্ষে রায় দিয়েছেন ৫১ শতাংশ ভোটার।
বুথফেরত জরিপের ফলের ওপর ভিত্তি করেই অবশ্য হাল ছাড়তে রাজি নন মোরালেস সমর্থকরা। বলিভিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট আলভেরো গার্সিয়া লিনেরা আনুষ্ঠানিক ফলাফলের জন্য দেশবাসীকে অপেক্ষা করতে বলেছেন। তিনি বলেন, মতামত জরিপে, বিশেষ করে বুথফেরত জরিপে ভুল হয়।
এদিকে বুথফেরত একটি জরিপে মোরালেস পিছিয়ে থাকায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে সরকারবিরোধীরা। প্রশাসনিক রাজধানী লাপাজে এই ফলাফল উদযাপনও করেছেন অনেকে।
২০০৬ সালে প্রেসিডেন্ট হিসেবে বলিভিয়ার ক্ষমতায় আসেন আদিবাসী বামপন্থী নেতা মোরালেস। ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই দক্ষিণ আমেরিকার দরিদ্রতম এ দেশটির দারিদ্র্য বিমোচনে ব্যাপক সংস্কার কর্মসূচি হাতে নেন তিনি। দেশটির প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে আয়ের সিংহভাগ অর্থ জনকল্যাণমূলক কাজ এবং অবকাঠামো নির্মাণে ব্যয় করেন।
২০১৪ সালে তিনি ৬১ শতাংশ ভোট পেয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ২০২০ সালে তার চলতি তৃতীয় মেয়াদ শেষ হবে। কিন্তু ২০২৫ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থেকে বলিভিয়ার দারিদ্র্য পুরোপুরি নির্মূলের এজেন্ডা ঘোষণা করেছিলেন তিনি। মোরালেসের একজন সহকারী জানিয়েছেন, মোরালেসের জন্য আবারও প্রেসিডেন্ট হওয়ার সুযোগ এখনও শেষ হয়ে যায়নি। সূত্র: বিবিসি।
/এমপি/বিএ/