কানাডার ক্ষমতাসীন লিবারেল দল মন্ট্রিয়লে একটি আসনে পরাজয়ের মুখোমুখি হয়েছে। এর ফলে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর ওপর পদত্যাগের চাপ বাড়তে পারে। মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত ভোটে দলটির প্রার্থী হেরেছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এ খবর জানিয়েছে।
কানাডার নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, লা সাল-এমার্ড-ভারডুন আসনে শতভাগ ভোট গণনার পর ব্লক কুইবেকের প্রার্থী লুই-ফিলিপ সোভে লিবারেল প্রার্থী লরা পালেস্তিনিকে খুব সামান্য ব্যবধানে পরাজিত করেছেন। ব্লক কুইবেকের প্রার্থী ২৮ শতাংশ ভোট পেয়েছেন, যেখানে লিবারেল প্রার্থী ২৭ দশমিক ২ শতাংশ ভোটে পিছিয়ে আছেন। নতুন ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এনডিপি) প্রার্থী ২৬ দশমিক ১ শতাংশ ভোট পেয়েছেন।
এই নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল একজন লিবারেল আইনপ্রণেতার পদত্যাগের পর। ট্রুডো দাবি করেছেন, তিনি ২০২৫ সালের অক্টোবরের মধ্যে অনুষ্ঠেয় সাধারণ নির্বাচনে দলকে নেতৃত্ব দেবেন। তবে কিছু লিবারেল সংসদ সদস্য নেতৃত্বে পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়েছেন।
কুইবেকের এক লিবারেল এমপি আলেকজান্দ্রা মেন্ডেস সম্প্রতি বলেছেন, তার নির্বাচনি এলাকার অনেক মানুষ ট্রুডোর পদত্যাগ চাচ্ছেন।
২০২১ সালের সাধারণ নির্বাচনে লিবারেল দল মন্ট্রিয়ল আসনে ৪৩ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। যেখানে ব্লক কুইবেকের ২২ শতাংশ এবং এনডিপি ১৯ শতাংশ ভোটে পিছিয়ে ছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক জনমত জরিপে ধারণা করা হচ্ছে যে, পরবর্তী ফেডারেল নির্বাচনে ডানপন্থি কনজারভেটিভ দল লিবারেলদের বড় ব্যবধানে পরাজিত করতে পারে।
একটি সাম্প্রতিক জরিপ অনুযায়ী, কনজারভেটিভদের জনপ্রিয়তা ৪৫ শতাংশে পৌঁছেছে, যেখানে লিবারেলরা ২৫ শতাংশ সমর্থন নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।
ভোটাররা জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি এবং আবাসন সংকটের মুখোমুখি হওয়ার ফলে ট্রুডোর জনপ্রিয়তা কমছে। কনজারভেটিভ নেতা পিয়েরে পলিয়েভ্র প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তিনি আবাসন সংকটের সমাধান না হওয়া পর্যন্ত অভিবাসন সীমা নির্ধারণ করবেন এবং ফেডারেল কার্বন ট্যাক্স বাতিল করবেন।