তৃতীয় মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার কথা ভাবছেন না বলে জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। রবিবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসির ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান অনুযায়ী, কোনও ব্যক্তি দুই মেয়াদের বেশি প্রেসিডেন্ট পদে দায়িত্ব পালন করতে পারেন না। তবে কিছু ট্রাম্প সমর্থক দাবি করেন, সংবিধানে একটি ফাঁক আছে, যা আদালতে পরীক্ষিত হয়নি।
ট্রাম্প ফ্লোরিডায় তার বাসভবন থেকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, আমি আট বছরের প্রেসিডেন্ট হবো। দুই মেয়াদের প্রেসিডেন্ট হবো। আমি সব সময় এটাকে খুব গুরুত্বপূর্ণ মনে করি।
এর আগে তিনি তৃতীয় বা চতুর্থ মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার ইচ্ছার কথা বলেছিলেন এবং দাবি করেছিলেন যে তিনি, ‘মজা করছেন না’। পরে তিনি বলেছিলেন, তার এসব মন্তব্য ‘ভুয়া সংবাদমাধ্যমকে’ ট্রল করার জন্য ছিল।
ট্রাম্পের কোম্পানি দ্য ট্রাম্প অর্গানাইজেশন ‘ট্রাম্প ২০২৮’ লেখা ক্যাপ বিক্রি করছে। যা থেকে অনেকে ধারণা করছেন যে তিনি ২০২৯ সালের জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও ক্ষমতায় থাকতে চাইতে পারেন। তবে সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘এটা এমন কিছু নয়, যা আমি করতে চাই।’
যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান অনুযায়ী, কোনও ব্যক্তি দুই মেয়াদের বেশি প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হতে পারবেন না। সংবিধান সংশোধন করতে হলে সিনেট ও হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের সমর্থন এবং দেশের ৭৫ শতাংশ রাজ্যের সরকারের অনুমোদন প্রয়োজন। তবে কিছু ট্রাম্প সমর্থক দাবি করেন, সংবিধানে একটি ফাঁক আছে, যা আদালতে পরীক্ষিত হয়নি।
অর্থনীতি ব্যবস্থাপনা নিয়ে সমালোচনা প্রত্যাখ্যান করে ট্রাম্প বলেন, ‘সবকিছু ঠিক আছে। এটি একটি পরিবর্তনের সময়। আমি মনে করি, আমরা অসাধারণ কিছু করতে যাচ্ছি।’
ট্রাম্পের শুল্ক পরিকল্পনা আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতে অস্থিরতা সৃষ্টি করায় যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি ২০২২ সালের পর প্রথমবারের মতো সংকুচিত হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কোনও কিছুই ঘটতে পারে। তবে আমি মনে করি, আমরা দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অর্থনীতি পাবো।’
সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওসহ কয়েকজন রিপাবলিকান নেতার নাম উল্লেখ করেন, যারা তার স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন। তিনি বলেন, ‘চমৎকার কিছু করার জন্য চার বছরই যথেষ্ট সময়।’
সূত্র: বিবিসি