X
বুধবার, ০৮ মে ২০২৪
২৫ বৈশাখ ১৪৩১

আফগানিস্তানে ফিরতে আগ্রহী তারা

বিদেশ ডেস্ক
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৯:৫৭আপডেট : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৯:৫৭

হাজারো আফগান, যারা বিদেশি সেনাদের সঙ্গে কাজ করেছেন, তারা আফগানিস্তান ছেড়ে পালাতে চাইছেন তালেবান ক্ষমতা দখলের পর। গত মাসে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে আফগানদের দেশত্যাগের মরিয়া চেষ্টার কথা। অনেকে কাবুল বিমানবন্দরে সামরিক বিমানের ডানায় ঝুলে দেশ ছাড়ার চেষ্টা করেছেন। তবে এখন এমন কিছু মানুষের কথা জানা যাচ্ছে, যারা বিদেশি দখল শেষ হওয়ায় আফগানিস্তানে ফিরতে চাইছেন। তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এমন কয়েকজন আফগান শরণার্থীর কথা উঠে এসেছে।

জহির পশতুন, যার জন্ম চামান-স্পিন বোলডাক সীমান্ত ক্রসিং থেকে ৯০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত পাকিস্তানের সারানান শরণার্থী শিবিরে। আফগানিস্তানে তালেবানরা ক্ষমতা দখলের পর দেশে ফিরতে আগ্রহীদের মধ্যে তিনি একজন।

উত্তর আফগানিস্তানের সারি পুল প্রদেশ থেকে আসা ৩৩ বছরের এই ব্যক্তি মাত্র একবার নিজের মাতৃভূমিতে গিয়েছেন। সেটি ১৯৯৮ সালে প্রথম তালেবান সরকারের আমলে।

পাশতুন বলেন, আমার পরিবার আফগানিস্তানে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওই সফর ছিল এই পরিকল্পনার অংশ। কিন্তু মার্কিন দখল ও আমাদের আদিভূমি নর্দার্ন অ্যালায়েন্সের লোকজন দখল করায় এই পরিকল্পনা ভেস্তে যায়।

শরণার্থী ক্যাম্পে কেয়ারটেকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করা পাশতুনের আশা তালেবান তাদের সম্পত্তি ফিরে পেতে সহযোগিতা করবে। তার কথায়, তালেবান ক্ষমতা দখলের পর মাফিয়ারা পালিয়েছে। কিন্তু ভূমি এখনও আমাদের জাতিগোষ্ঠীর দখলে আসেনি। আমি তালেবানের কাছে লিখেছি ফিরতে সহযোগিতা চেয়ে। তাদের জবাবের অপেক্ষায় আছি। ইতিবাচক সাড়া পেলে আমাদে পুরো গোষ্ঠী ফিরবে আফগানিস্তানে।

সারানানে প্রায় ৫০ হাজার আফগান শরণার্থীর বাস। এদের বেশিরভাগ এসেছেন সারি পুল, জাওজান ও ফারিয়াব এলাকা থেকে। এদের বেশিরভাগ ইশাকজাই।

১৯৮০-র দশকে শিশু বয়সে পাকিস্তানে আশ্রয় নেওয়া মোহাম্মদ আঘার মতে, আফগানিস্তান থেকে যেসব খবর আসছে সেগুলো উৎসাহ জাগানিয়া। বিদেশি দখলদার ও তাদের স্থানীয় সহযোগিতাকারীরা পালিয়েছে। পরিস্থিতির ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে। তবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি চূড়ান্তভাবে স্বাভাবিক হলেই কেবল তিনি আফগানিস্তান ফিরবেন।

মালিক নওরোজ খান নামের আরেক ব্যক্তি পরিবার নিয়ে আফগানিস্তান ফিরতে চান। তার কথায়, পাকিস্তান আমাদের দ্বিতীয় বাড়ি। কয়েক দশক ধরে আমাদের আশ্রয় দেওয়ায় পাকিস্তান সরকার ও জনগণের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। আমার মনে হয় দেশে ফেরার সময় হয়েছে। শরণার্থী একজন শরণার্থীই। মাতৃভূমিতে যদি জীবন নিরাপদ থাকে তাহলে এর বিকল্প কিছু নেই।

এমন কয়েকজন আফগান শরণার্থী নিজ দেশে ফিরতে চাইলেও বেশিরভাগ এখনও আগ্রহী না। কমিউনিটি নেতা হাজি আবদুল্লাহ বলেন, এই পর্যায়ে ক্যাম্প থেকে অল্প কয়েকজন আফগানিস্তানে ফিরতে আগ্রহী।   

জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থার এক মুখপাত্র কায়সার আফ্রিদি জানান, পরিস্থিতি এখন প্রত্যর্পণের অনুকূল নয়।

/এএ/
সম্পর্কিত
অর্থনীতি চাঙা করতে গাঁজা চাষে ঝুঁকছে পাকিস্তান
ইমরান খানের স্ত্রীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ পাকিস্তানের আদালতের
এই বর্ষায় নির্ধারিত হবে মিয়ানমার জান্তা ও বিদ্রোহীদের পরিণতি?
সর্বশেষ খবর
এবার কি ফুটপাত দখলমুক্ত হবে?
এবার কি ফুটপাত দখলমুক্ত হবে?
ডায়ালাইজার কিটে শুল্ক কমানোর দাবি
ডায়ালাইজার কিটে শুল্ক কমানোর দাবি
গানে-কবিতায় রবীন্দ্রজয়ন্তী উদযাপন সঙ্গীতালয়ের
গানে-কবিতায় রবীন্দ্রজয়ন্তী উদযাপন সঙ্গীতালয়ের
কালবৈশাখী হতে পারে ৮ বিভাগে
৩ দিনের সতর্কবার্তাকালবৈশাখী হতে পারে ৮ বিভাগে
সর্বাধিক পঠিত
ব্যারিস্টার সুমনকে একহাত নিলেন চুন্নু
ব্যারিস্টার সুমনকে একহাত নিলেন চুন্নু
গ্রাম আদালত বিল পাস, জরিমানা বাড়লো চার গুণ
গ্রাম আদালত বিল পাস, জরিমানা বাড়লো চার গুণ
শনিবারে স্কুল খোলা: আন্দোলন করলে বাতিল হতে পারে এমপিও
শনিবারে স্কুল খোলা: আন্দোলন করলে বাতিল হতে পারে এমপিও
শেখ হাসিনাই হচ্ছেন ভারতে নতুন সরকারের প্রথম বিদেশি অতিথি
শেখ হাসিনাই হচ্ছেন ভারতে নতুন সরকারের প্রথম বিদেশি অতিথি
প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন আজ
প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন আজ