মার্চ মাসের শেষ দিকে বড় আকারের যৌথ সামরিক মহড়ায় অংশগ্রহণ করবে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া। সিউলের প্রতিবেশী উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে এমন মহড়ার বিরুদ্ধে ‘নজিরবিহীন’ দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকির পরও এমন উদ্যোগ নিচ্ছে ওয়াশিংটন ও সিউল। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।
মার্কিন ও দক্ষিণ কোরীয় সেনাবাহিনী শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেছে, দুই দেশের সেনাবাহিনী আগামী ১৩ থেকে ২৩ মার্চ এই যৌথ মহড়ায় অংশ গ্রহণ করবে। এর লক্ষ্য হলো উভয় দেশের সমন্বিত প্রতিরক্ষা সামর্থ্য শক্তিশালী করা।
‘ফ্রিডম শিল্ড’ বা ‘মুক্তির ঢাল’ নামের এই মহড়াটি এবারই সবচেয়ে দীর্ঘ সময় আয়োজন করা হচ্ছে। দক্ষিণ কোরীয় বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপের প্রতিবেদন অনুসারে, যৌথ কম্পিউটার-সিমুলেশন কমান্ড পোস্ট অনুশীলন’ থাকবে এই মহড়ায়।
যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মুক্তির ঢাল মহড়ার পরিকল্পনা এমনভাবে করা হয়েছে যাতে করে জোটের প্রতিরক্ষা ও পদক্ষেপ নেওয়ার সক্ষমতা বাড়ে নিরাপত্তা পরিবেশের বদল, ডিপিআরকে-এর আগ্রাস এবং সাম্প্রতিক যুদ্ধ ও সংঘাত নেওয়া শিক্ষার ক্ষেত্রে।
ডিপিআরকে হলো উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় নাম: দ্য ডেমোক্র্যাটিক পিপল’স রিপাবলিক অব কোরিয়া।
অতীতে দুই দেশের যৌথ মহড়ায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে উত্তর কোরিয়া। মহড়ার পর দেশটি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ ও পারমাণবিক হুমকি দিয়েছে। এবারও এই মহড়াকে কেন্দ্র উসকানিমূলক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাতে পারে দেশটি।
এমন মহড়ার বিরোধিতা করে পিয়ংইয়ং দাবি করে আসছে, এগুলো যুক্তরাষ্ট্র ও সিউলের মিত্রদের আক্রমণের অনুশীলন।
শুক্রবার মার্কিন ও দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী সমন্বিত বিমান মহড়া চালিয়েছে। এতে অন্তত একটি বি-১বি দূরপাল্লার বোমারু ও দক্ষিণ কোরিয়ার এফ-১৫কে ও কেএফ-১৬ যুদ্ধবিমান অংশ নিয়েছে।