২০১৮ সালের ভঙ্গুর একটি সামরিক চুক্তি লঙ্ঘন করে শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে বিতর্কিত সমুদ্রসীমার কাছে সামরিক মহড়া চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। এসময় আর্টিলারি রাউন্ড গুলি ছোঁড়েছে উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনী। এই মহড়াকে প্ররোচনামূলক বলে মন্তব্য করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা। এর প্রতিক্রিয়ায় অনুরূপ একটি পাল্টা মহড়ার পরিকল্পনা করছে দেশটি। মার্কিন বার্তাসংস্থা এপি এই খবর প্রকাশ করেছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বী এই দেশটি প্রায় এক বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো এ ধরণের মহড়া চালিয়েছে। এটি দুই কোরিয়ার মধ্যকার গুরুতর শত্রুতা আরও গভীর করবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।
দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ বলেছেন, উত্তর কোরিয়া তাদের বিতর্কিত পশ্চিম সমুদ্রসীমার উত্তরে জলসীমায় ২০০ রাউন্ড গুলি ছোঁড়েছে।
যদিও এই মহড়ায় দক্ষিণ কোরিয়ার কোনও ক্ষতি হয়নি, তবে একে উস্কানিমূলক বলে অভিহিত করেছে দেশটি।
দক্ষিণ কোরিয়া বলছে, বিতর্কিত সীমান্তের কাছে এমন মহড়া পরিচালনার প্রতিক্রিয়ায় একটি অনুরূপ পদক্ষেপ নেবে তারা। তবে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি দেশটি।
এদিকে, দক্ষিণ কোরিয়ার ফ্রন্ট-লাইন দ্বীপ ইয়নপিয়ংয়ের বাসিন্দারা বলেছেন, তাদেরকে দ্বীপ ছেড়ে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সামরিক বাহিনী। কেননা, তারা শুক্রবার বিকেলের দিকে সমুদ্রে ফায়ারিং মহড়া শুরু করার পরিকল্পনা করছে।
১৯৯৯ সাল থেকে কোরিয়ার সমুদ্রসীমায়ে বেশ কয়েকবার রক্তক্ষয়ী আন্ত-কোরিয়ান যুদ্ধ হয়েছে। ২০১০ সালে ইওনপিয়ং দ্বীপে আর্টিলারি স্ট্রাইকও শুরু করেছিল উত্তর কোরিয়া। এতে দক্ষিণ কোরিয়ার চারজন নিহত হন।
দুই কোরিয়ার সীমান্তে উত্তেজনা প্রশমনে ২০১৮ সালের একটি সামরিক চুক্তি সই করা হয়েছিল। ওই চুক্তিতে বলা হয়, দুই কোরিয়াকে তাদের সীমান্তে স্থাপিত নো-ফ্লাই এবং বাফার জোনে লাইভ-ফায়ার অনুশীলন এবং এরিয়াল নজরদারি বন্ধ করতে হবে। তবে নভেম্বরে উত্তর কোরিয়া প্রথম সামরিক স্পাই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করলে দুই কোরিয়ার মধ্যে বিবাদ শুরু হয়। এতে করে সামরিক এই চুক্তিটি ভেস্তে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়।