সেনাবাহিনীর আধুনিকীকরণের তৃতীয় ধাপের অনুমোদন দিয়েছেন ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র। এর মধ্যে দেশটির প্রথম সাবমেরিন ক্রয়ও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগরে তার সামুদ্রিক সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য সেনাবাহিনীর আধুনিকীকরণের উদ্যোগ নেয় দেশটি। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।
পশ্চিম ফিলিপাইন সাগরের নৌবাহিনীর মুখপাত্র রায় ত্রিনিদাদ বৃহস্পতিবার বলেছেন, আধুনিকায়নের তৃতীয় ধাপটিতে যে-সব সরঞ্জাম কেনা হবে সেগুলো দেশটির অভ্যন্তরীণ প্রতিরক্ষার বাইরে বাহ্যিক প্রতিরক্ষায় ও কাজে লাগবে।
ত্রিনিদাদ বলেন, ‘আমরা বড় কোনও নৌবাহিনী না হতে পারি…তবে আমাদের এমন একটি নৌবাহিনী থাকবে যেটি আমাদের আঞ্চলিক অধিকার এবং সার্বভৌমত্বকে সুরক্ষা দেবে।’
তিনি আরও বলেন, আধুনিকীকরণ পরিকল্পনার তৃতীয় পর্যায়টি দেশটির প্রয়োজনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সংশোধন করা হয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, এই ধাপে প্রায় ৩ হাজার ৫৬২ কোটি ডলারের সামরিক সরঞ্জাম ক্রয় করা হবে। এটি বাস্তবায়নে বেশ কয়েক বছরসময় লাগতে পারে।
তবে ফিলিপাইন ঠিক কতগুলো সাবমেরিন কিনতে চায় সে সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানাননি ত্রিনিনান। এ বিষয়ে তিনি শুধু বলেছিলেন, এ সংখ্যা ‘অবশ্যই একাধিক’ হবে।
দক্ষিণ চীন সাগরে আঞ্চলিক বিরোধ নিয়ে চীনের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে এই ঘোষণা এসেছে। ফিলিপাইন তার একচেটিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে দক্ষিণ চীন সাগরের ওই অংশটিকে পশ্চিম ফিলিপাইন সাগর হিসেবে উল্লেখ করে।