X
শনিবার, ১০ মে ২০২৫
২৭ বৈশাখ ১৪৩২

ক্ষমতায় ফিরতে পারবেন পাকিস্তানের ‘প্রত্যাবর্তনের রাজা’?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:০৭আপডেট : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৪৬

পাকিস্তানের তিন বারের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ গত বছর স্বেচ্ছা নির্বাসন থেকে দেশে ফিরেছেন। কিন্তু ভোটের আগেই স্পষ্ট হয়ে গেছে ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে তিনিই এগিয়ে রয়েছেন। গত তিন দশকে পাকিস্তানের রাজনীতিতে আধিপত্যের পরও খুব কম সংখ্যক মানুষ তার এমন প্রত্যাবর্তনের কথা ভেবেছিলেন। শেষ বার ক্ষমতা থেকে উৎখাত হয়েছিলেন দুর্নীতির অভিযোগে। এর আগে সামরিক অভ্যুত্থানে ছেড়েছিলেন ক্ষমতা। এরপরও তিনি সফলভাবে আরেকবার প্রত্যাবর্তন করেছিলেন পাকিস্তানের রাজনীতিতে। কিন্তু প্রত্যেকবার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তাকে দায়িত্ব ছাড়তে হয়েছিল। পাকিস্তানে প্রভাবশালী সেনাবাহিনীর বিরোধিতাকারী হিসেবে বিবেচিত হওয়া নেতার জন্য এটি একটি নাটকীয় ফেরা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

থিংক ট্যাংক প্রতিষ্ঠান উইলসন সেন্টারের দক্ষিণ এশিয়া পরিচালক মাইকেল কুগেলম্যান বলেছেন, পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন তিনি। এর কারণ শুধু তার জনপ্রিয়তা নয়, তিনি সঠিক চাল দিতে পেরেছেন।

শরিফের প্রতিদ্বন্দ্বী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান পূর্বে সেনাবাহিনীর সমর্থন পেয়েছিলেন। এখন তিনি কারাগারে রয়েছেন। জনপ্রিয়তা থাকা তার দল দেশজুড়ে দমন-পীড়নের মুখে রয়েছে।

অতীতের যত প্রত্যাবর্তন

অনেকেই বলে থাকেন পাকিস্তানের রাজনীতিতে প্রত্যাবর্তনের রাজা তিনি। অতীতে তিনি একাধিকবার তা করে দেখিয়েছেন।

দ্বিতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের সময় ১৯৯৯ সালে সামরিক অভ্যুত্থানে তিনি ক্ষমতাচ্যুত হয়। ২০১৩ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। ওই নির্বাচন ছিল পাকিস্তানের জন্য ঐতিহাসিক মুহূর্ত। এটিই ছিল ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা লাভের পর প্রথমবার গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের কাছ থেকে আরেকটি নির্বাচিত সরকারের ক্ষমতা হস্তান্তর। নওয়াজের তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়াটাও ছিল রেকর্ড।

বৃহস্পতিবার ভোটারদের লাইন। ছবি: রয়টার্স

কিন্তু তার তৃতীয় মেয়াদ সহজ ছিল না। রাজধানী ইসলামাবাদে বিরোধীদের ছয় মাস অবরোধ দিয়ে শুরু হয় সংকট, শেষ হয় দুর্নীতির অভিযোগে আদালতের বিচার প্রক্রিয়ায়। আর এর জের ধরে ২০১৭ সালের জুলাই মাসে সুপ্রিম কোর্ট তাকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের অযোগ্য বলে রায় দেয়। পরে তিনি পদত্যাগ করেন।

২০১৮ সালের জুলাই মাসে দুর্নীতির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হন তিনি। তাদের দশ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। কিন্তু দুই মাস পর আদালত ওই রায় স্থগিত করলে তিনি মুক্তি পান। 

২০১৮ সালের ডিসেম্বরে আবারও দুর্নীতির অভিযোগে কারাগারে যান তিনি। এবার সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় থাকে। সৌদি আরবে স্টিল কারখানায় তার পরিবারের মালিকানা সংশ্লিষ্ট দুর্নীতির অভিযোগে এই সাজা দেওয়া হয় তাকে।

তখন তিনি যুক্তরাজ্যে চিকিৎসার জন্য জামিন আবেদন করেন। ২০১৯ সালে তাকে জামিন এবং লন্ডনে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। সেখানে চার বছর স্বেচ্ছা নির্বাসনে বিলাসী জীবনযাপন করেন তিনি। অবশেষে গত বছর অক্টোবরে তিনি দেশে ফিরেন।

গত ৩৫ বছর ধরে পাকিস্তানের রাজনীতিতে শীর্ষস্থানীয় রাজনীতিবিদ হিসেবে তিনি পরিচিত। দেশের বাইরে অবস্থানের পরও তার এই অবস্থান অটুট রয়েছে। 

পেছনের কথা

১৯৪৯ সালে লাহোরের এক প্রখ্যাত শিল্প পরিবারের নওয়াজ শরিফের জন্ম। রাজনীতিতে তার প্রথম সাফল্য একটি শহুরে আসনে জয়ী হওয়ার মাধ্যমে। 

১৯৭৭ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের ক্ষমতায় থাকা সামরিক নেতা জেনারেল জিয়া উল-হকের শিষ্য বলে পরিচিত নওয়াজ শরিফকে বাইরের বিশ্ব চেনে মূলত ১৯৯৮ সালে পাকিস্তানের প্রথম পারমাণবিক পরীক্ষার নির্দেশদাতা হিসেবে।

জেনারেল জিয়ার সামরিক শাসনের শুরুর দিকে জাতীয় পর্যায়ে আলোচনায় আসেন তিনি। ১৯৮৫-১৯৯০ সময়কালে তিনি পাঞ্জাব প্রদেশের অর্থ ও পরে মুখ্যমন্ত্রী হন।

বিশ্লেষকরা তাকে খুব প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে কখনও তুলে ধরেননি। কিন্তু তারা তাকে একজন দক্ষ প্রশাসক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। ১৯৯০ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রী হন কিন্তু পদচ্যুত হন ১৯৯৩ সালে। এর ফলে তখনকার বিরোধীদলীয় নেতা বেনজির ভুট্টোর সরকার গঠনের পথ সুগম হয়।

পাকিস্তানের শীর্ষ স্টিল কোম্পানি ইত্তেফাক গ্রুপের মালিক নওয়াজ শরিফ দেশটির একজন ধনী শিল্পপতি।

সামরিক অভ্যুত্থান

১৯৯৭ সালে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে আবার সরকার গঠন করে প্রধানমন্ত্রী হন নওয়াজ। ওই সময় রাজনীতিতে তার আধিপত্য ছিল। সেনাবাহিনী বাদে সব বড় প্রতিষ্ঠান ও সংস্থায় তার শক্তিশালী নিয়ন্ত্রণ ছিল। পরে পার্লামেন্টের বিরোধীদের কর্মকাণ্ডে হতাশ হয়ে তিনি একটি সংবিধান সংশোধনী পাসের উদ্যোগ নেন। এতে তিনি শরিয়াহ আইন প্রয়োগের ক্ষমতা পেতেন। ওই সময় তাকে ক্ষমতার অপর কেন্দ্রগুলোকেও মোকাবিলা করতে হয়। তার একদল সমর্থক সুপ্রিমকোর্টে তাণ্ডব চালায় এবং পাকিস্তানের প্রভাবশালী সেনাবাহিনীর লাগাম টেনে ধরার চেষ্টা করেছিলেন।

কিন্তু ১৯৯৯ সালে তৎকালীন সেনাপ্রধান পারভেজ মোশাররফ তাকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করেন। যা দেখিয়ে দিয়েছিল যে, পাকিস্তানে প্রভাবশালী সেনাবাহিনীর প্রভাব খর্ব করার চেষ্টা করলে রাজনীতিকদের পরিণতি কেমন হতে পারে।

নওয়াজকে গ্রেফতার, কারাগারে পাঠানো এবং অপহরণ ও সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ওই সময় দুর্নীতির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত ও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।

কিন্তু সৌদি আরবের মধ্যস্থতায় কথিত সমঝোতা তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের কারাজীবন থেকে বাঁচিয়ে দেয়। তিনি ও তার পরিবারের ৪০ সদস্যকে সৌদি আরবে নির্বাসনে পাঠানো হয়। তাদের দশ বছর সেখানে নির্বাসনে থাকার কথা ছিল।

বিবিসির ইসলামাবাদ প্রতিনিধি ওয়েন বেনেট-হোন্স ওই সময়ের স্মৃতিচারণ করে বলেছেন, নওয়াজ উৎখাত হওয়ার অনেক পাকিস্তানি স্বস্তি প্রকাশ করেছিলেন। তারা তাকে দুর্নীতিগ্রস্ত, অযোগ্য ও ক্ষমতালিপ্সু মনে করতেন।

দুর্নীতির অভিযোগ

২০০৭ সালে সেনাবাহিনীর সঙ্গে একটি সমঝোতার মাধ্যমে পাকিস্তানে ফেরেন নওয়াজ। দেশে ফিরে সরকারবিরোধী অবস্থান নেন। তার দল পিএমএল-এন ২০০৮ সালের নির্বাচনে এক-চতুর্থাংশ আসনে জয় পায়। 

কিন্তু ২০১৩ সালে নির্বাচনে তিনি জয়ী হন। কিন্তু তাকে ক্রিকেট তারকা থেকে রাজনীতিকে পরিণত হওয়া ইমরান খানের গঠিত দলের কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়। রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হন ইমরান খান। তার বিরুদ্ধে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে ক্ষমতা গ্রহণের পর ইমরানের পিটিআই দলের সমর্থকরা ইসলামাবাদ ছয় মাস অবরোধ করে রাখে।

ইমরান খান। ছবি: ব্লুমবার্গ

অভিযোগ রয়েছে, এই অবরোধ শুরু করতে উসকানি দিয়েছেন দেশটির সেনাবাহিনীর কুখ্যাত ইন্টার-সার্ভিসেস (আইএসআই) এজেন্সির কয়েকজন কর্মকর্তা।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, সামরিক কাঠামোতে নওয়াজের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে চেয়েছিল। যাতে তিনি ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য সম্প্রসারণ না করেন। এই সম্পর্ক স্থাপনের কাজ শুরু করেছিল আগের সরকার।

অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স বজায় রেখে তৃতীয় মেয়াদে পাকিস্তানকে ‘এশিয়ার বাঘ’-এ পরিণত করা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন পিএমএল-এন নেতা। 

কিন্তু সমস্যা বাড়তে থাকে। সামনে আসে অর্থনৈতিক দুরবস্থা। ভঙ্গুর অর্থনীতির কারণে চীনা অর্থায়নে ৫৬ বিলিয়ন ডলারের চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর আটকে যায়, অল্প কয়েকটি মাত্র প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়।

২০১৬ সালে পানামা পেপার্স ফাঁস হলে তা তার জন্য নতুন হুমকি হয়ে দেখা দেয়। সুপ্রিম কোর্ট তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত শুরু করে। লন্ডনের অভিজাত এলাকায় তার পরিবারের অ্যাপার্টমেন্টের মালিকানা নিয়ে অভিযোগ উঠে। তিনি বেআইনি কিছু করার অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং দাবি করেন, এসব রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

তবে ২০১৮ সালের ৬ জুলাই পাকিস্তানের একটি আদালত তাকে দুর্নীতির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দেয়। তার অনুপস্থিতিতে তাকে দশ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। রায় ঘোষণার সময় তখন তিনি লন্ডনে অবস্থান করছিলেন। তার মেয়ে ও জামাইও দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন।

আবার সুযোগ

প্রতিদ্বন্দ্বী ইমরান খান পাকিস্তানের ক্ষমতায় থাকাকালে নওয়াজ লন্ডনে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু পিটিআই নেতার শাসনকালও জটিলতায় পড়ে এবং সেনাবাহিনীর সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হয়। 

২০২২ সালে পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন ইমরান খান। এর ফলে নওয়াজের ছোট ভাই শেহবাজ শরিফ ক্ষমতায় আসেন। 

ইমরানের পতনের পর থেকেই ক্ষমতায় ফিরতে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে শামিল হতে শুরু করেন নওয়াজ। ২০২৩ সালের অক্টোবরে বিজয়ীর বেশে দেশে ফেরেন তিনি। তত দিনে তার বিরুদ্ধে সব মামলা খারিজ হয়ে গেছে এবং অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তাকে উৎখাত করা সেনাবাহিনীও দৃশ্যত তাকে স্বাগত জানিয়েছে। দল বেশি আসন পেলে তার ক্ষমতায় ফেরাটা প্রায় নিশ্চিত। 

পাকিস্তানের অর্থনৈতিক দুর্ভোগের জন্য নওয়াজ শরিফ ও তার দলকে দায়ী করা হয়। নওয়াজ নিজেও একাধিক দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন।

চ্যাথাম হাউজের এশিয়া-প্যাসিফিক প্রকল্পের অ্যাসোসিয়েট ফেলো ড. ফারজানা শেখ বলেছেন, নওয়াজের দল জয়ী হতে যাচ্ছে। তবে কোনও দল একবার ছাড়া কখনও নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ পায়নি। ওই একবার তা পেয়েছিল নওয়াজের দল। সব কিছু ইঙ্গিত দিচ্ছে তিনি প্রধানমন্ত্রী বা বৃহত্তম দলের প্রধান হতে যাচ্ছেন।  

চতুর্থ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন?

পাকিস্তানের রাজনীতিতে অস্থির ও ভঙ্গুর সময় চলছে। নওয়াজ নিজেকে তিনবার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা একজন অভিজ্ঞ নেতা হিসেবে হাজির করছেন। তিনি পাকিস্তানের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল ও সঠিক পথে ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।

নওয়াজের দলের নির্বাচনি প্রচারণা। ছবি: ডন

কুগেলম্যান বলেছেন, নওয়াজের সমর্থকরা আশা করবেন স্থিতিশীলতা, অভিজ্ঞতা ও নির্ভরযোগ্যতার বয়ান ভোট পেতে সহযোগিতা করবে এবং সেনাবাহিনীর জন্য তিনি স্বস্তিদায়ক হবেন অথবা অন্তত তার দলের সঙ্গে সেনা কাঠামোর সঙ্গে স্বস্তির সম্পর্ক থাকবে।

কিন্তু বিশ্লেষকরা এখনও উদ্বিগ্ন। নওয়াজকে অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। শুধু যে সংকটে থাকা অর্থনীতি তা নয়, বেশিরভাগ ভোটারদের মনোভাব হচ্ছে, তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কারাগারে থাকায় ভোট নিরপেক্ষ হবে না।

ড. শেখ বলেছেন, তিনি জটিলতায় আছেন তার ভাইয়ের নেতৃত্বাধীন দলের জন্য। আগের জোট সরকারের বড় অংশীদার ছিল দলটি। তাদের নেওয়া কয়েকটি উদ্যোগে অর্থনৈতিক দুর্ভোগ বেড়েছে জনগণের। 

এছাড়া রয়েছে সেনাবাহিনী। পাকিস্তানের রাজনীতিতে তাদের ব্যাপক প্রভাব রয়েছে।

বিদেশে অবস্থানকালে সশস্ত্র বাহিনীর কট্টর সমালোচক ছিলেন নওয়াজ। বিশেষ করে দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার জন্য তিনি আইএসআই ও সাবেক সেনাপ্রধানকে দায়ী করেছেন। যদিও তারা এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

পাকিস্তানের বিচার ব্যবস্থারও সমালোচনা করেছেন তিনি। তার বিরুদ্ধে ভুয়া মামলায় সাজা দিয়ে দেশের গণতন্ত্রকে পঙ্গু করে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন তিনি।

সেনাবাহিনী কখনও নওয়াজ শরিফ বা ইমরান খানকে সমর্থনের কথা প্রকাশ্যে বলেনি। আনুষ্ঠানিকভাবে তারা দাবি করে আসছে, রাজনীতিতে তারা জড়িত নয়।

কিন্তু বিশ্লেষকদের কাছে মনে হচ্ছে, রাজনীতিতে ফেরার জন্য নওয়াজ নিশ্চিতভাবে সেনাবাহিনীর সঙ্গে এক ধরনের সমঝোতায় এসেছেন।

কুগেলম্যান বলেছেন, দেশের ফেরার পর এত আইনি জটিলতা থেকে তার মুক্তি পাওয়া প্রমাণ করছে তিনি প্রভাবশালী সেনাবাহিনীর সুনজরে রয়েছেন। দেশটির বিচার ব্যবস্থায় সেনাবাহিনীর ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। মজার বিষয় হলো, নওয়াজ এখন উড়ছেন। কিন্তু অতীতে তিনি নিয়মিত সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়তেন। পাকিস্তানে রাজনৈতিক নেতা হলে এবং সেনাবাহিনীর সমর্থন থাকলে, নির্বাচনি সাফল্য পাওয়ার সুযোগ অনেক বেশি।

 

/এএ/এমওএফ/
সম্পর্কিত
পাকিস্তানের হামলায় জম্মু ও কাশ্মীরের এক সিনিয়র কর্মকর্তা নিহত
ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের সামরিক অভিযান শুরু
ভারত-পাকিস্তান সংঘাতে আতঙ্কসীমান্ত এলাকায় খাদ্য মজুত ও নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটছে মানুষ
সর্বশেষ খবর
টেস্ট থেকে অবসর চান কোহলি
টেস্ট থেকে অবসর চান কোহলি
২০৩১ সালের নারী বিশ্বকাপ হবে ৪৮ দলের
২০৩১ সালের নারী বিশ্বকাপ হবে ৪৮ দলের
না ফেরার দেশে মুস্তাফা জামান আব্বাসী
না ফেরার দেশে মুস্তাফা জামান আব্বাসী
কোপানোর মামলায় জামিন না পেয়ে এবার ভাঙা হলো বাদীর হাত-পা
কোপানোর মামলায় জামিন না পেয়ে এবার ভাঙা হলো বাদীর হাত-পা
সর্বাধিক পঠিত
সাবেক শিবির নেতাদের নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ
সাবেক শিবির নেতাদের নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ
যেভাবে বানাবেন কাঁচা আমের টক-মিষ্টি-ঝাল আমসত্ত্ব 
যেভাবে বানাবেন কাঁচা আমের টক-মিষ্টি-ঝাল আমসত্ত্ব 
কলকাতায় যুদ্ধের প্রস্তুতি মমতা সরকারের
কলকাতায় যুদ্ধের প্রস্তুতি মমতা সরকারের
আ.লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলনে বিরতি ঘোষণা, শাহবাগেই ঘুমিয়ে পড়েছেন হাসনাত
আ.লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলনে বিরতি ঘোষণা, শাহবাগেই ঘুমিয়ে পড়েছেন হাসনাত
আ.লীগের নিষিদ্ধের বিষয়ে বিএনপি সুস্পষ্ট অবস্থান না নেওয়ায় ছাত্রদল নেতার পদত্যাগ
আ.লীগের নিষিদ্ধের বিষয়ে বিএনপি সুস্পষ্ট অবস্থান না নেওয়ায় ছাত্রদল নেতার পদত্যাগ