চীনজুড়ে প্রবীণদের ডিজিটাল যুগে সম্পৃক্ত করতে শুরু হয়েছে অভিনব উদ্যোগ। বিল পরিশোধ থেকে শুরু করে হাসপাতালের নিবন্ধন, বাজার করা বা ট্যাক্সি ডাকা—সবই এখন মোবাইলের এক ছোঁয়ায় সম্ভব। এমন বাস্তবতায় প্রবীণদের পিছিয়ে না রেখে সামনের সারিতে নিতে দেশজুড়ে চলছে বিশেষ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম।
চীনের মতো দেশের প্রবীণ জনগোষ্ঠী যাতে ডিজিটাল ব্যবস্থার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারে, তা নিশ্চিত করতে কমিউনিটি পর্যায়ে হাতে নেওয়া হয়েছে ‘ডিজিটাল সাক্ষরতা ক্লাস’।
বেইজিংয়ের বিভিন্ন এলাকায় এসব প্রশিক্ষণে শেখানো হচ্ছে কীভাবে মোবাইল চার্জ দিতে হয়, অ্যাপ ব্যবহার করে বাজার করতে হয়, অনলাইনে হাসপাতালের অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করতে হয়।
কুয়াংহুয়ালি কমিউনিটি এল্ডারলি কেয়ারের পরিচালক চিয়া লিলি জানালেন, ‘আমরা এক প্রবীণকে মোবাইল চার্জ দেওয়া, চালানো, অনলাইন ব্যবহার ও শপিং শিখিয়েছিলাম। এখন তিনি নিজেই সব করতে পারেন।’
চীনে এখন ৬০ বছরের বেশি বয়সী মানুষের সংখ্যা ৩০ কোটি ছাড়িয়েছে। বিশাল এই জনগোষ্ঠীকে প্রযুক্তিনির্ভর সেবার আওতায় আনতে তরুণ স্বেচ্ছাসেবকরা এগিয়ে এসেছেন। তারা প্রবীণদের পাশে থেকে হাতে-কলমে শেখাচ্ছেন ফোন, অ্যাপ এবং অন্যান্য ডিজিটাল টুলস ব্যবহারের কৌশল।
এই উদ্যোগ শুধু প্রযুক্তি শেখানোর বিষয় নয়, বরং এটি প্রজন্মের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরিরও এক প্রয়াস।
এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে প্রবীণরা শিখছেন কীভাবে পরিবার-পরিজনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে হয়, স্বাস্থ্য সম্পর্কিত তথ্য অনলাইনে জানতে হয়, এমনকি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করতে হয়।
চিয়ানওয়াই সাবডিস্ট্রিক্ট প্রশাসন অফিসের উপপরিচালক ওয়াং ইয়িই বললেন, ‘এই কর্মসূচির মাধ্যমে প্রবীণরা বিভিন্ন প্রযুক্তিপণ্য সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। অনেকে এখন সাম্প্রতিক প্রযুক্তিগত উন্নয়নের সঙ্গে পরিচিত।’
চীনের এই উদ্যোগে প্রবীণদের প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত করে তোলার মধ্য দিয়ে শুধু জীবনযাত্রাই সহজ হচ্ছে না, বরং গড়ে উঠছে প্রজন্মের মধ্যে বোঝাপড়াভিত্তিক এক নতুন সমাজ।
সূত্র: সিএমজি