আবারও পাকিস্তানকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোমবার (২৬ মে) গুজরাটের ভুজে এক সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময় ‘পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদ থেকে বের করে আনতে সরাসরি দেশটির জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মোদি। ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ খবর জানিয়েছে।
মোদি বলেন, শুধুমাত্র পাকিস্তানের জনগণই পারে সন্ত্রাসবাদের রোগ থেকে দেশটিকে মুক্ত করতে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি পাকিস্তানের জনগণকে জিজ্ঞাসা করতে চাই — সন্ত্রাসবাদ থেকে তোমরা কী পেলে? ভারত এখন চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি। আর তোমরা কোথায়?’
ভাষণে মোদি বলেন, ‘পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদের রোগ থেকে মুক্ত করতে হলে, পাকিস্তানের জনগণেরই এগিয়ে আসতে হবে। ওদের তরুণ প্রজন্মের এগিয়ে আসা উচিত।’
পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি দিয়ে মোদি বলেন, ‘সুখ-শান্তিতে জীবন যাপন করো, রুটি খাও, না হলে আমার গুলি তো আছেই।’
এসময় মোদি অভিযোগ করেন, পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদকে রাষ্ট্র পরিচালনার একটি হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে, যেখানে ভারত সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতার নীতি গ্রহণ করেছে।
তার এই বক্তব্যে সুর মেলান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদ একটি ‘উন্মুক্ত ব্যবসা’, যা রাষ্ট্র এবং তার সামরিক বাহিনীর দ্বারা অর্থায়িত, সংগঠিত এবং ব্যবহার করা হয়।
জয়শঙ্কর বলেন, ‘যারা অন্ধ নয়, তারা সবাই দেখতে পাচ্ছেন যে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলো পাকিস্তানের শহর ও নগর থেকে প্রকাশ্যে পরিচালিত হচ্ছে। এটা কোনো গোপন বিষয় নয়।’
এর আগে গুজরাটের দাহোদে এক সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী মোদি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা দেন এবং ‘অপারেশন সিন্দুরের’ কথা উল্লেখ করেন। বলেন, গত ২২ এপ্রিল পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার জবাবে পাকিস্তান এবং পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের জঙ্গি ঘাঁটিগুলোতে ভারতের সশস্ত্র বাহিনী নির্ভুল হামলা চালিয়েছে।
মোদি বলেন, ‘যখন কেউ আমাদের বোনদের সিঁদুর মুছে দিতে আসে, তখন তার মুছে যাওয়াও নিশ্চিত হয়ে যায়।’
‘অপারেশন সিন্দুর শুধু একটি সামরিক অভিযান নয় — এটি আমাদের ভারতীয় মূল্যবোধ এবং হৃদয়ের গভীরে ধারণ করা আবেগের প্রতিফলন।’