তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে গুরুত্বারোপ করছেন। ইস্তানবুলে মহাদেশটির বিভিন্ন দেশের নেতাদের নিয়ে বৈঠকের আগে তিনি মূলত প্রতিরক্ষা সম্পর্ককে গভীর করতে উদ্যোগী হয়েছেন। আর এর পেছনে রয়েছে দেশগুলোর কাছে তুর্কি ড্রোন বিক্রি করার চেষ্টা। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এখবর জানিয়েছে।
দুই দিনব্যাপী তুর্কি-আফ্রিকা অংশীদারিত্ব সম্মেলন শুরু হচ্ছে শুক্রবার। এর আগে অক্টোবরে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য নিয়ে শীর্ষ পর্যায়ের বাণিজ্যিক ফোরামের আলোচনা হয়েছিল।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রক্রিয়ায় নিরাপত্তা সম্পর্ক দ্রুত গতিতে আগাচ্ছে। তুরস্ক আফ্রিকার দেশগুলোর কাছে কম দামে সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি করতে চায় কোনও বড় শর্ত ছাড়াই।
এই সম্মেলনে ৩৯টি দেশের ১৩ জন প্রেসিডেন্টসহ শীর্ষ নেতা ও মন্ত্রীরা তাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করেছেন। শনিবার সম্মেলনে ভাষণ দেবেন এরদোয়ান।
সোমালিয়াতে তুরস্কের একটি সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। এছাড়া মরক্কো ও তিউনিসিয়া তুরস্কের যুদ্ধের ড্রোন এরই মধ্যে পেয়ে গেছে বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
অক্টোবরে এরদোয়ানের সফরের সময় অ্যাঙ্গোলা তুরস্কের ড্রোন কেনার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমদের সঙ্গে আগস্টে আঙ্কারা একটি সামরিক সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
আফ্রিকার অস্ত্রের বাজারে প্রভাবশালী রাশিয়া। ২০১৫-২০১৯ সাল পর্যন্ত মহাদেশটির কেনা ৪৯ শতাংশই অস্ত্রই রাশিয়ার। সম্প্রতি তুরস্কের অস্ত্র বিক্রিও বেড়েছে অঞ্চলটিতে।
ইউনিভার্সিটি অব জেনোয়ার আন্তর্জাতিক সম্পর্কের গবেষক ফেডেরিকো ডোনেলি বলেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাত হলো প্রতিরক্ষা, কারণ এটি নতুন দিক। তুরস্ক এই খাতে জোর দিচ্ছে, বিশেষ করে ড্রোন।