X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ঝিনুক চুরি ঠেকানোর অভিনব সমাধান

বিদেশ ডেস্ক
৩০ ডিসেম্বর ২০২১, ১৯:০৮আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২১, ১৯:০৮

উন্নতমানের ঝিনুক বেশ দামি। বিশেষ করে উৎসবের মৌসুমে এর দাম আর বেড়ে যায়। ফলে ঝিনুক চোরেরাও এসময় বেশ করিৎকর্মা হয়ে ওঠে। তাদের ঠেকাতে ফরাসি এক ঝিনুক চাষি অভিনব এক পন্থা বেছে নিয়েছেন। জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।

ফরাসি ঝিনুক চাষি ক্রিস্টোফ গিনোর খামার থেকে কয়েক বছর আগে তিন টনের মতো ঝিনুক চুরি হয়। বাজারে এর দাম ২০ হাজার ইউরো বা প্রায় দুই লাখ টাকা।

স্পেনের সীমান্তবর্তী উপকূলীয় অঞ্চলে গিনোর খামার। পানিতে খাঁচার মধ্যে ঝিনুক রাখা থাকে, সেই খাঁচাগুলো যাতে ঢেউয়ে ভেসে না যায়, সেজদন্য একটি লোহার ফ্রেমের সঙ্গে তার দিয়ে বাঁধা থাকে। খামার পাহারায় জনবল নিয়োগের পাশাপাশি প্রযুক্তির আশ্রয়ও নেন খামারিরা। কেউ কেউ ড্রোন, এমনকি ঝিনুকের আদলে তৈরি ট্রেসারও ব্যবহার করেন। কিন্তু তবুও ২৪ ঘণ্টা এত বড় খামার পাহারা দেওয়া কোনও খামারির পক্ষেই সম্ভব হয় না। চোরেরাও নতুন নতুন ফন্দি বের করে, পানিতে থাকা খাঁচা থেকে ঝিনুক তুলে নিয়ে যায়।

নিজের খামারের ঝিনুকের ভেতর পুরস্কার জেতার চিরকুট রাখেন গিনো

এই চুরি ঠেকাতে ক্রিস্টোফ গিনো অভিনব এক পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন। নিজের খামারের খাঁচা থেকে কিছু ঝিনুক বের করে সেগুলোর খোলের মধ্যে ‘আপনার ওজনের সমান ঝিনুক জিতেছেন' লেখা ছোট ছোট বার্তা পুরে আবার আঠা দিয়ে খোল জোড়া দিয়ে অন্য ঝিনুকের মধ্য়ে রেখে দিয়েছেন তিনি।

এর ফলে চুরি করা ঝিনুক কিনে কেউ যখন এই চিঠি নিয়ে পুরস্কারের লোভে খামারে হাজির হচ্ছেন, তখনই পুলিশে খবর দেওয়া হচ্ছে। কার কাছ থেকে এই ঝিনুক কেনা হয়েছে, তা খুঁজে বের করাও তখন পুলিশের জন্য বেশ সহজ হয়ে যাচ্ছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে গিনো জানিয়েছেন, ২০১৬ সাল থেকে এই পদ্ধতি কাজে লাগানোর পর তার খামারে আর কোনও চুরির ঘটনা ঘটেনি।

আশেপাশের অন্য খামারিরাও এখন এই পন্থা অবলম্বন করতে শুরু করেছেন। গিনোর খামারে এখনও পুরস্কার দাবি করে কেউ আসেননি। তবে আশেপাশের বেশ কয়েকটি খামারে এমন ঘটনা ঘটেছে। কিছু ক্ষেত্রে তা পুলিশকে জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এতে যে কাজ হচ্ছে, পরিসংখ্যানই হয়তো তার প্রমাণ। ফরাসি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, ২০১৭ সালে ১৯টি চুরির ঘটনা ঘটলেও ২০২০ সালে একটিও চুরির খবর পাওয়া যায়নি।

ইউরোপে ঝিনুকের সবচেয়ে বড় উৎপাদক দেশ ফ্রান্স

ইউরোপে ঝিনুকের সবচেয়ে বড় উৎপাদক ফ্রান্স। ২০১৯ সালে দেশটি প্রায় ৮৬ হাজার টন ঝিনুক উৎপাদন করেছে, যার দাম আনুমানিক ৩৯৮ মিলিয়ন ইউরো বা ৩৮ হাজার কোটি টাকারও বেশি।

বিশেষ করে বছরের শেষের দিকে ঐতিহ্যবাহী নানা খাবারে ঝিনুক খুব আকর্ষণীয় উপাদান হয়ে ওঠে। ফলে এসময়ে ঝিনুকের চাহিদাও বেড়ে চলে। যেমন, চেজ ফ্রাসোয়াঁ রেস্তোরাঁয় ছয়টি উচ্চমানের ঝিনুকের একটি ডিশ বিক্রি হয় ২৪ ইউরো বা দুই হাজার ৩০০ টাকায়। এত চাহিদা থাকায় দামি এ পণ্য চুরিতে চোরেরাও ব্যস্ত হয়ে ওঠে।

/এএ/
সম্পর্কিত
বাংলাদেশের উন্নয়ন-সহযোগী হিসেবে দ্রুত জায়গা করে নিচ্ছে ফ্রান্স
ইউরোপ ধ্বংস হয়ে যেতে পারে: ম্যাক্রোঁ
ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে গিয়ে অন্তত ৫ অভিবাসী নিহত
সর্বশেষ খবর
‘শো মাস্ট গো অন’
চিকিৎসা সুরক্ষা আইন জরুরি‘শো মাস্ট গো অন’
ছাদে আম পাড়তে গিয়ে নিচে পড়ে শিশুর মৃত্যু
ছাদে আম পাড়তে গিয়ে নিচে পড়ে শিশুর মৃত্যু
বেয়ারস্টো-শশাঙ্কে হেসেখেলে ২৬২ রান করে জিতলো পাঞ্জাব
বেয়ারস্টো-শশাঙ্কে হেসেখেলে ২৬২ রান করে জিতলো পাঞ্জাব
ফরিদপুরে দুই শ্রমিক হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার দাবিতে খেলাফত মজলিসের মিছিল
ফরিদপুরে দুই শ্রমিক হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার দাবিতে খেলাফত মজলিসের মিছিল
সর্বাধিক পঠিত
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
এগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
ঈদের ছবিএগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
হোটেল রুম থেকে এই ৫ জিনিস নিয়ে আসতে পারেন ব্যাগে ভরে!
হোটেল রুম থেকে এই ৫ জিনিস নিয়ে আসতে পারেন ব্যাগে ভরে!