পূর্ব ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে সম্পর্ক বৃদ্ধির জন্য চীনের পৃষ্ঠপোষকতায় গঠিত একটি ফোরাম ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে লাটভিয়া ও এস্তোনিয়া। চীনের ক্রমবর্ধমান জোরদার কূটনীতির জন্য এটিকে একটি বড় আঘাত হিসেবে মনে করা হচ্ছে। মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি এখবর জানিয়েছে।
রাশিয়ার সঙ্গে চীনের সম্পর্ক জোরদার হওয়ার পর এই পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিলো পূর্ব ইউরোপীয় দেশ দুটি। ইউক্রেনে আক্রমণের জন্য রাশিয়ার সমালোচনা করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছে চীন। তবে পশ্চিমাদের পক্ষ থেকে মস্কোর ওপর জারি করা নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করেছে বেইজিং।
ইউক্রেনে আক্রমণ শুরুর কয়েক সপ্তাহ আগে চীন সফর করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে সঙ্গে নিয়ে দুই নেতা ঘোষণা দেন তাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের কোনও সীমা নেই।
বাল্টিক দেশ লিথুয়ানিয়র বিরুদ্ধে চীনের অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক পদক্ষেপও লাটভিয়া ও এস্তোনিয়ার এমন সিদ্ধান্তের নেপথ্যে ভূমিকা রেখেছে। তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক বৃদ্ধির জন্য লিথুয়ানিয়ার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছে চীন।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে লাটভিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, লাটভিয়ার বর্তমান পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য নীতির অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সেন্ট্রাল অ্যান্ড ইস্টার্ন ইউরোপিয়ান কান্ট্রিজ অ্যান্ড চায়না সহযোগিতা ফ্রেমওয়ার্কে আমরা থাকব না।
এস্তোনিয়াও একই ধরনের বিবৃতি দিয়েছে। ফোরামে না থাকার ঘোষণা দিয়ে তারা বলেছে, চীনের সঙ্গে গঠনমূলক সম্পর্কের জন্য কাজ অব্যাহত থাকবে।
২০১২ সাল থেকে এই ফোরামে রয়েছে এস্তোনিয়া। গত ফেব্রুয়ারির পর এই ফোরামের কোনও বৈঠকে দেশটি অংশগ্রহণ করেনি।
শি জিনপিংয়ের বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগের আওতায় সার্বিয়াসহ ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে এই ফোরাম গড়ে তুলেছিল চীন। এই প্রকল্পের আওতায় ইউরেশিয়া মহাদেশজুড়ে সেতু, রেললাইন, বিদ্যুৎকেন্দ্র ও অন্যান্য অবকাঠামো গড়ে তুলতে চায় চীন।
চীন এই ফোরামকে ‘১৭ প্লাস ওয়ান’ হিসেবে গড়ে তুলেছিল। কিন্তু এখন ইউরোপীয় সদস্যের সংখ্যা কমে দাঁড়ালো ১৪টিতে।