পশ্চিমা দেশগুলোকে সতর্ক করে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেনে যুদ্ধের জন্য দেশগুলো যদি সেনা পাঠায় তাহলে একটি পারমাণবিক যুদ্ধের প্রকৃত ঝুঁকি রয়েছে। পারমাণবিক অস্ত্র দিয়ে পশ্চিমা যেকোনও নিশানায় আঘাতে সক্ষম মস্কো। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দেশটির পার্লামেন্ট ও অভিজাত শ্রেণির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এ সতর্কতা উচ্চারণ করেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
৭১ বছর বয়সী পুতিন ভাষণে আবারও অভিযোগ করে বলেছেন, পশ্চিমারা রাশিয়াকে দুর্বল করতে চাইছে। তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, পশ্চিমা নেতারা বুঝতে পারছেন না রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে কী ভয়াবহ বিপদের সঙ্গে জড়াচ্ছেন।
সোমবার ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ইউক্রেনের ইউরোপীয় ন্যাটো দেশগুলোর সেনা পাঠানোর ধারণা তুলে ধরেছিলেন। যদিও দ্রুতই তা প্রত্যাখ্যান করেছে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ব্রিটেন ও অপর দেশগুলো। ম্যাক্রোঁর ওই মন্তব্য ঘিরে পুতিনের এই সতর্ক বার্তা এলো।
পুতিন বলেছেন, পশ্চিমা দেশগুলোকে অবশ্যই বুঝতে হবে যে, আমাদেরও পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে। যেগুলো তাদের ভূখণ্ডে আঘাত করতে পারবে। এ সব কিছু পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার ও মানব সভ্যতার ধ্বংসের জন্য হুমকি। তারা কি এটি বুঝতে পারছে না?
আগামী ১৫-১৭ মার্চ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আরও ছয় বছরের জন্য নির্বাচিত হওয়ার বিষয়ে পুতিন প্রায় নিশ্চিত। ভাষণে তিনি রাশিয়ার অত্যাধুনিক পারমাণবিক অস্ত্র ভাণ্ডারের প্রশংসা করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, রাশিয়াই বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী।
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর পশ্চিমাদের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কের চরম অবনতি হয়েছে। ১৯৬২ সালে কিউবার ক্ষেপণাস্ত্র সংকটের পর এটিই সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি। এর আগেও পুতিন রাশিয়া ও ন্যাটোর মধ্যে সরাসরি সংঘাতের বিপদ নিয়ে সতর্ক করেছিলেন।
দৃশ্যত ক্ষুব্ধ পুতিন বৃহস্পতিবারের ভাষণে ইঙ্গিত দিয়েছেন পশ্চিমা নেতাদের নাৎসি জার্মানির অ্যাডলফ হিটলার ও ফ্রান্সের ন্যাপোলিয়েন বোনাপোর্টের মতো পরিণতি হতে পারে, যারা অতীতে রাশিয়া আক্রমণ করে ব্যর্থ হয়েছিলেন।
পুতিন সতর্ক করে বলেছেন, কিন্তু এবার পরিণতি হবে আরও দুঃখজনক। তারা যুদ্ধকে কার্টুন মনে করে।