গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে এবার মাঠে নেমেছে জার্মান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভরত এসব শিক্ষার্থীর ওপর দমনমূলক ব্যবস্থা ও পুলিশি হামলার অভিযোগ তুলেছে ছাত্র ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্মীরা। বিক্ষোভের শুরু থেকেই তারা পুলিশি নির্যাতনের শিকার হচ্ছে বলে শুক্রবার (২৫ মে) দাবি করেন শিক্ষার্থীরা। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছ।
মার্কিন ছাত্র বিক্ষোভের অনুকরণে এবার মাঠে নেমেছে বার্লিন, মিউনিখ, কোলন এবং অন্যান্য শহরের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা। বুধবার বার্লিনের হামবোল্ট ইউনিভার্সিটির সামাজিক বিজ্ঞান বিভাগ দখল করে শিক্ষার্থীরা। গাজার একটি শরণার্থী শিবিরের নামানুসারে তারা ভবনটির নামকরণ করে জাবালিয়া ইনস্টিটিউট নামে। আর ভবনটির লাইব্রেরির নাম রাখা হয় ডিসেম্বরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ফিলিস্তিনি কবি রেফাত আলিরেরের নামে। এসময় তাদের হাতে ছিল ‘বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা আত্মরক্ষা নয়’ সংবলিত প্ল্যাকার্ড। তারা এসব শ্লোগানের ভবনের দেয়ালে দেয়ালে লিখে রাখে।
এসময় ক্যাম্পাসে অবস্থান কর্মসূচি নেওয়া শিক্ষার্থীদের উচ্ছেদের আল্টিমেটাম দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তা না মানায় মাঠে নামে পুলিশ। এসময় অন্তত ১৫০ শিক্ষার্থীকে ক্যাম্পাস থেকে উচ্ছেদ করে তারা। অপরাধমূলক কাজে জড়িতের থাকায় অভিযুক্ত করে ২৫ শিক্ষার্থীকে। এক শিক্ষার্থী সাংবাদিকদের জানান, পুলিশ কর্মকর্তারা তাদেরকে বারবার মাথায় ঘুসি মেরেছে, শরীরে লাথি মেরেছে এবং কয়েক ঘণ্টার জন্য তাকে চিকিৎসার সুযোগ দেয়নি।
গত ৭ মে বার্লিনের ফ্রি ইউনিভার্সিটিতেও বিক্ষোভকারীদের একটি ক্যাম্প উচ্ছেদের সময় পুলিশের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। বিক্ষোভকারীরা জানান, প্ররোচনা ছাড়াই শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের ঘুসি ও লাথি মেরেছে ও শ্বাসরোধ করেছে পুলিশ। এসময় অন্তত ৭৯ জনকে আটক করে তারা।