ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে চলমান যুদ্ধের ইতিহাসে অন্যতম বৃহৎ বিমান হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা এই দাবি করেছেন। মঙ্গলবার ভোরে চালানো এই হামলায় দক্ষিণ ইউক্রেনের ওডেসা শহরের একটি মাতৃসদনসহ বসতবাড়ি ও জরুরি চিকিৎসা কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে অন্তত দুইজন নিহত ও কয়েকজন আহত হয়েছেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
মঙ্গলবার ভোররাতে কিয়েভজুড়ে বিকট বিস্ফোরণ এবং আগুনের আলোয় আকাশ আলোকিত হয়ে ওঠে বলে জানিয়েছেন রয়টার্সের প্রত্যক্ষদর্শীরা। রাজধানীর ১০টি জেলার মধ্যে সাতটিতে আঘাত হানে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন। এতে অন্তত চারজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, আজকের হামলা ছিল কিয়েভে অন্যতম বড় রুশ হামলা। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্ব সম্প্রদায়ের শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টাকে রুশ হামলা নস্যাৎ করছে।
সাম্প্রতিক হামলাগুলোকে তারা রুশ বিমানঘাঁটি এবং সেতুতে চালানো হামলার ‘প্রতিশোধ’ হিসেবে দাবি করছে রাশিয়া। গত এক সপ্তাহে রাশিয়া ইউক্রেনের বিভিন্ন স্থানে ১ হাজার ৪৫১টি ড্রোন এবং ৭৮টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেনীয় বিমান বাহিনীর।
ওডেসায় গভীর রাতে চালানো ড্রোন হামলায় একটি মাতৃসদন, একটি জরুরি চিকিৎসাকেন্দ্র এবং কয়েকটি আবাসিক ভবনে আগুন ধরে যায়। স্থানীয় গভর্নর ওলেহ কিপার জানান, দুজন পুরুষ নিহত হয়েছেন। তবে হাসপাতাল থেকে রোগী ও কর্মীদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইউক্রেন থেকে ড্রোন আক্রমণের আশঙ্কায় মস্কো, সেন্ট পিটার্সবার্গসহ ১৩টি শহরের বিমানবন্দর থেকে রাতভর সব ফ্লাইট সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়। পরে মস্কোসহ কিছু শহরে ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক হলেও সেন্ট পিটার্সবার্গে এখনো কিছু বিধিনিষেধ রয়েছে।