X
রবিবার, ০৫ মে ২০২৪
২১ বৈশাখ ১৪৩১

আসিফা হত্যা ও ধর্ষণ মামলা পাঠানকোট আদালতে স্থানান্তরের নির্দেশ

বিদেশ ডেস্ক
০৭ মে ২০১৮, ১৬:৫০আপডেট : ০৭ মে ২০১৮, ১৬:৫১

কাশ্মিরের কাঠুয়ায় যাযাবর মুসলিম বাকারওয়াল গোষ্ঠীর ৮ বছর বয়সী শিশু আসিফা বানুকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও হত্যা মামলার কার্যক্রম পাঞ্জাবের পাঠানকোটের আদালতে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। তবে মামলার তদন্তের দায়িত্ব সিবিআইকে দেওয়া হয়নি। সোমবার আদালত এই নির্দেশ দেন।

আসিফা হত্যা ও ধর্ষণ মামলা পাঠানকোট আদালতে স্থানান্তরের নির্দেশ

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, আসিফার বাবা-মা মামলাটি জম্মুর স্থানীয় আদালত থেকে সরিয়ে অন্য স্থানে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন। কারণ স্থানীয় আদালতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিলের সময় থেকেই আইনজীবীদের একাংশ তাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখিয়ে আসছে। তারা অভিযোগপত্র দাখিলেও বাধা দিয়েছিল।

আসিফা বানু জম্মু ও কাশ্মির অঞ্চলের কাঠুয়া নামের এলাকার বাসিন্দা ছিল। গত জানুয়ারিতে স্থানীয় দুষ্কৃতকারীরা তাকে অপহরণ করে। পরবর্তীতে তাকে মন্দিরে রেখে কয়েক দিন ধরে ধর্ষণ করা হয়। শেষ পর্যায়ে তাকে মেরে ফেলা হয়। মৃত্যু নিশ্চিত করতে হত্যাকারীরা তার মাথা ভারি পাথর দিয়ে থেঁতলে দেয়।

আসিফার ধর্ষণ ও হত্যার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের মধ্যে পুলিশ সদস্য যেমন রয়েছে, তেমন রয়েছে মন্দিরের তত্ত্বাবধায়ক। অভিযুক্ত মন্দির তত্ত্বাবধায়ক সানজি রাম স্বীকার করেছে, নিজের ধর্ষক ছেলেকে বাঁচাতেই ওই ষড়যন্ত্রে যুক্ত হয়েছিল সে।

নিরাপত্তা শঙ্কার কথা জানিয়ে মামলাটি জম্মু-কাশ্মির থেকে চণ্ডিগড়ে সরিয়ে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন আসিফার বাবা। অভিযুক্তরাও মামলার তদন্তের ভার রাজ্য পুলিশের অপরাধ শাখা থেকে সিবিআইতে হস্তান্তরের জন্য আবেদন জানায়। পাল্টাপাল্টি আর্জি দায়েরের মধ্য দিয়ে গত ২৭ এপ্রিল ভারতের সর্বোচ্চ আদালত দায়রা জজ আদালতে চলমান মামলার শুনানি ৭ মে পর্যন্ত স্থগিত করেছিল।

আসিফার পরিবার চায়, রাজ্য পুলিশের অপরাধ শাখা থেকেই তদন্ত চলতে থাকুক। কিন্তু অভিযুক্তদের বাঁচাতে স্থানীয় রাজনীতিবিদরা মামলার তদন্তের দায়িত্ব সিবিআইকে দেওয়ার জন্য চাপ তৈরি করছে বলে অভিযোগ করেছেন আসিফার মা। তিনি বলেন, ‘যখন আমরা প্রথম অভিযোগ করেছিলাম,তখন যদি পুলিশ ব্যবস্থা নিত, তবে বাচ্চাটাকে বাঁচানো যেত। কিন্তু তারা সাত দিন ধরে চুপচাপ বসে ছিল।’

উল্লেখ্য, রাজ্য পুলিশের অপরাধ শাখার দায়ের করা অভিযোগপত্রে অপহরণ, ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, এলাকা থেকে সংখ্যালঘু যাযাবর সম্প্রদায়কে নির্মূল করে দিতে পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। অভিযোগপত্রে দেবীস্থান মন্দিরের কেয়ারটেকার সানজি রামকে প্রধান ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। সানজি রাম ছাড়াও বিশেষ পুলিশ কর্মকর্তা দীপক খাজুরিয়া ও সুরেন্দর ভার্মা, সানজি রামের বন্ধু প্রভেশ কুমার, সানজির ভাতিজা (কিশোর অপরাধী) এবং সানজির পুত্র বিশালের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগপত্রে তদন্ত কর্মকর্তা এবং প্রধান কনস্টেবল তিলক রাজ, সাব-ইন্সপেক্টর আনন্দ দত্তের নামও রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, তারা সানজি রামের কাছ থেকে ৪ লাখ রুপি ঘুষ নিয়ে অপরাধের প্রমাণ ধংস করে দিয়েছিলেন। এ আট অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করা হয়েছে।

 

/এএমএ/এএ/
সম্পর্কিত
পশ্চিমবঙ্গ জয়ে এবার মোদির ত্রিপুরী সেনা!
পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলো ভারত
নিজ্জার হত্যার অভিযোগে কানাডায় তিন ভারতীয় গ্রেফতার
সর্বশেষ খবর
জিরোনার মাঠে বার্সেলোনার নাটকীয় হারে চ্যাম্পিয়ন রিয়াল
জিরোনার মাঠে বার্সেলোনার নাটকীয় হারে চ্যাম্পিয়ন রিয়াল
‘ফাইভ স্টার’ ম্যানসিটি, চার গোল হাল্যান্ডের
‘ফাইভ স্টার’ ম্যানসিটি, চার গোল হাল্যান্ডের
ঢাকায় পুনর্মিলন সেরে ক্যাঙ্গারুর দেশে...
ঢাকায় পুনর্মিলন সেরে ক্যাঙ্গারুর দেশে...
নিষ্পত্তির অপেক্ষায় হেফাজতের ২০৩ মামলা
নিষ্পত্তির অপেক্ষায় হেফাজতের ২০৩ মামলা
সর্বাধিক পঠিত
জাল দলিলে ৫০ কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ!
জাল দলিলে ৫০ কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ!
রবিবার থেকে স্কুল-কলেজ খোলা, শনিবারও চলবে ক্লাস
রবিবার থেকে স্কুল-কলেজ খোলা, শনিবারও চলবে ক্লাস
লিথুয়ানিয়ার ড্রোন হামলা ব্যর্থ হয়েছে: বেলারুশ
লিথুয়ানিয়ার ড্রোন হামলা ব্যর্থ হয়েছে: বেলারুশ
স্বর্ণের ভরিতে বাড়লো ১ হাজার টাকার বেশি
স্বর্ণের ভরিতে বাড়লো ১ হাজার টাকার বেশি
এডিবি কর্মকর্তা গোবিন্দ বরের বিরুদ্ধে বিশিষ্টজনদের হয়রানির অভিযোগ
এডিবি কর্মকর্তা গোবিন্দ বরের বিরুদ্ধে বিশিষ্টজনদের হয়রানির অভিযোগ