ভারতের গুজরাট রাজ্যের আহমেদাবাদের বিখ্যাত বিজে মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রাবাসে এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইটটি বিধ্বস্ত হয়। এতে পাঁচজন মেডিকেল শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে চারজন ছিলেন স্নাতক পর্যায়ের (আন্ডারগ্র্যাজুয়েট) শিক্ষার্থী এবং একজন পিজি রেসিডেন্ট। ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ খবর জানিয়েছে।
আহমেদাবাদ থেকে যুক্তরাজ্যের লন্ডনগামী বিমানটি একটি আবাসিক এলাকায় চিকিৎসকদের হোস্টেলের ওপর বিধ্বস্ত হয়েছে। এয়ার ইন্ডিয়ার এআই ১৭১ ফ্লাইটটি বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দুপুরে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরেই বিধ্বস্ত হয়। বিমানটিতে মোট ২৪২ জন আরোহী ছিলেন। এর মধ্যে ২৩২ জন যাত্রী এবং ১০ জন ক্রু সদস্য।
লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করা বিমানটি দুপুর ১টা ৩৮ মিনিটে সরদার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে। তবে বিমানটি মাত্র ৮২৫ ফুট উচ্চতায় পৌঁছানোর পরই ভূপতিত হয়। প্রযুক্তিগত ব্যর্থতার কারণে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় প্রায় ৪০ জন ডাক্তার আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে, বিজে মেডিকেল কলেজের এক প্রত্যক্ষদর্শী ডা. শ্যাম গোবিন্দ বলেন, ‘আমি ও আমার এক জুনিয়র ডাক্তার আহত হয়েছি। ৩০-৪০ জন আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ডাক্তার আহত হয়েছেন এবং একজন বা দুজন শিক্ষার্থীর অবস্থা গুরুতর।’
ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন জানিয়েছে, প্লেন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঠিক আগে বিমানের পাইলট ক্যাপ্টেন সুমিত সাবরওয়াল এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের কাছে ‘মে ডে’ সংকেত পাঠিয়েছিলেন। ‘ মে ডে’ সংকেত মূলত জীবন-সংকটাপন্ন জরুরি অবস্থায় ব্যবহৃত হয়।